English Version
আপডেট : ২৪ মার্চ, ২০২১ ১০:৪০

হজ পালনে আবারো শঙ্কা!

অনলাইন ডেস্ক
হজ পালনে আবারো শঙ্কা!

হঠাৎ করে মহামারি করোনা ভাইরাসের প্রকোপ বৃদ্ধি পাওয়ায় আবারো অনিশ্চিয়তা দেখা দিয়েছে পবিত্র হজ পালনে। আর মাত্র চার মাস বাকি পবিত্র হজের। কিন্তু বাংলাদেশ থেকে হজে যাওয়ার বিষয়ে এখনো সৌদি সরকার কোনো নিদের্শনা দেয়নি।

শুধু যারা হজে যাবেন তাদের বাধ্যতামূলক ভ্যাকসিন নেয়া এবং বয়স নির্ধারণ করে একটি গেজেট প্রকাশ করেছে সৌদি সরকারের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। এই আদেশের পরই টিকা কার্যক্রম ছাড়া হজ যাত্রীদের নিয়ে আর কোনো প্রস্তুতি শুরু হয়নি।

এ বিষয়ে শঙ্কা প্রকাশ করে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান বলেন, এ বছর হজ হবে কি না-সে বিষয়ে সৌদি সরকারের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক কোনো নির্দেশনা আসেনি। তবে প্রস্তুতি হিসেবে হজযাত্রীদের টিকা নিতে বলেছে সৌদি সরকার। তাই বাংলাদেশেও নিবন্ধিত যাত্রীদের টিকা নিতে বলা হয়েছে।

সীমিত পরিসরে হজ অনুষ্ঠিত হলেও বাংলাদেশ সুযোগ পাবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন হজ এজেন্সিজ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ-হাবের সভাপতি এম শাহাদাত হোসাইন তসলিম। তিনি গণমাধ্যমকে জানান, হজে যাওয়ার অনুমতি পেলে দুই দেশের সরকারি নিয়মানুযায়ী কার্যক্রম সম্পাদিত হবে।   তবে এখনো সৌদি সরকার নিশ্চিত করেনি কত সংখ্যক হজযাত্রী হজে যেতে পারবেন। হাব সভাপতি বলেন, সৌদি সরকার চলতি বছর হজ পালনের অনুমতি দিলে গত বছর যারা নিবন্ধন করেছেন তারা আগে যাবেন। খরচের বিষয়ে তিনি জানান, সৌদি আরব আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিলে নতুন চার্জ ও হজযাত্রীদের আবাসন ব্যয় সম্পর্কে জানা যাবে।

জানা গেছে, যদি হজের সুযোগ তৈরি হয় সেক্ষেত্রে সৌদি বিমানবন্দরে ৭২ ঘণ্টা আগে করা কোভিড-১৯ পিসিআর টেস্টের নেগেটিভ রিপোর্ট দেখাতে হবে। সেইসাথে, ৭২ ঘণ্টা থাকতে হবে কোয়ারেন্টিনে। সৌদিতে গিয়ে আবার পিসিআর টেস্ট করতে হবে এবং নেগেটিভ রিপোর্ট আসার পর কোয়ারেন্টিন সমাপ্ত হবে। হজের সময় স্বাস্থ্যবিধি মেনে হাজী এবং হজের কর্মীরা আলাদা ব্যাজ পরবেন। পাশাপাশি পরস্পরের মধ্যে অন্তত দেড় মিটার দূরত্ব রাখার নির্দেশনা আছে সৌদি সরকারের।

করোনা পরিস্থিতির কারণে গত বছরের ২৭ ফেব্রুয়ারি ওমরাহ এবং ভিজিট ভিসায় সৌদি আরবে প্রবেশ নিষিদ্ধ করে সৌদি সরকার। ৮ মাস পর গত ৪ অক্টোবর থেকে কিছু শর্ত দিয়ে আবার ওমরাহ পালনের অনুমতি দেয় দেশটির সরকার। সেই শর্ত পুরণে ব্যর্থ হওয়ায় বেসরকারি এজেন্সিগুলো বাংলাদেশ থেকে ওমরাহযাত্রী পাঠাতে পারেনি।

প্রতিবছর বিশ্বের ২০ লাখেরও বেশি মানুষ পবিত্র হজ পালনে সৌদি আরব যান। করোনা পরিস্থিতির কারণে গত বছর সৌদি আরবে অবস্থানরত অন্তত ১০ হাজার মানুষ হজে অংশ নেয়ার সুযোগ পেয়েছেন।