English Version
আপডেট : ২২ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ২২:১৬

অ্যামাজনের আবেদনে আম্বানির চুক্তি স্থগিত করল ভারতের সুপ্রিম কোর্ট

অনলাইন ডেস্ক
অ্যামাজনের আবেদনে আম্বানির চুক্তি স্থগিত করল ভারতের সুপ্রিম কোর্ট

ভারতের সুপ্রিম কোর্টে ধাক্কা খেলেন রিলায়্যান্স কর্ণধার মুকেশ আম্বানি। ফিউচার গ্রুপের সঙ্গে তার সংস্থার ৩৪০ কোটি আমেরিকান ডলারের চুক্তিতে আপাতত স্থগিতাদেশ দিলেন আদালত। ওই চুক্তি ব্যবসায়িক বিধিনিয়ম লঙ্ঘন করছে বলে শীর্ষ আদালতে আবেদন জানিয়েছিল আমেরিকান অনলাইন বিপণন সংস্থা অ্যামাজন। 

সেই মামলার শুনানিতে সোমবার ওই চুক্তিতে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দিয়েছেন আদালত। এর আগে নিম্ন আদালত কোম্পানি ট্রাইব্যুনালের ওপর সিদ্ধান্তের কথা বলে। কিন্তু সর্বোচ্চ আদালত সাফ জানিয়েছেন, কোম্পানি ট্রাইব্যুনাল শুনানি চালিয়ে যেতে পারে। তবে শীর্ষ আদালতের পরবর্তী নির্দেশ না আসা পর্যন্ত এ নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া যাবে না্

আগামী ৫ সপ্তাহের জন্য মামলার শুনানি পিছিয়ে দিয়েছেন শীর্ষ আদালত। লিখিতভাবে ফিউচার গ্রুপকে নিজেদের অবস্থানও জানাতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আদালতের এই নির্দেশর পরেই ফিউচার গ্রুপের শেয়ার ও বন্ডের দাম ব্যাপক পড়ে গেছে। তাদের শেয়ার পড়েছে ১০ শতাংশ। ২০২৫ পর্যন্ত মেয়াদ ছিল যে বন্ডের, ডলার প্রতি তার দামও পড়ে গেছে ৩.৫ সেন্ট। রিলায়্যান্সের শেয়ার দরও ২.৮ শতাংশ পড়ে গেছে।  শীর্ষ আদালতের নির্দেশ নিয়ে সোমবার সন্ধ্যা পর্যন্ত কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি রিলায়্যান্স এবং ফিউচার গ্রুপের তরফে। তবে এই স্থগিতাদেশ থেকে অব্যাহতি পেতে ফিউচার গ্রুপ আন্তর্জাতিক সালিশি ট্রাইব্যুনালে (আরবিট্রেশন ট্রাইব্যুনাল) যেতে পারে বলে জানা গেছে।

দেনার দায়ে জর্জরিত হয়ে রিলায়্যান্সকে খুচরা ব্যবসা এবং যাবতীয় পরিকাঠামো বিক্রি করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় ফিউচার গ্রুপ। ২০২০ সালের আগস্টে ২৪ হাজার ৭১৩ কোটি টাকার বিনিময়ে তাদের মধ্যে চুক্তিও স্বাক্ষরিত হয়। কিন্তু বেঁকে বসে ফিউচার গ্রুপের ৪৯ শতাংশ অংশীদার অ্যামাজন। এই চুক্তিতে সম্মতি নেই বলে সাফ জানিয়ে দেয় তারা। ফিউচার গ্রুপের সঙ্গে রিলায়্যান্সের এই চুক্তি তাদের সঙ্গে চুক্তির পরিপন্থী। এই চুক্তিতে ব্যবসায়িত বিধিনিয়ম লঙ্ঘিত হয়েছে বলে দাবি করে অ্যামাজন। 

জবাবে কিশোর বিয়ানির ফিউচার গ্রুপ জানায়, ২০২০-র ২৯ অগস্ট চুক্তির কথা ঘোষণা করে তারা। তাবড় সংবাদমাধ্যমে সে কথা ফলাও করে প্রকাশিত হয়। ফোন, মেসেজ এবং ই-মেল মারফত সে খবর অ্যামাজনের কাছেও পৌঁছে যায়। তার পরেও আইনি পদক্ষেপ করতে একমাস অপেক্ষা করে অ্যামাজন। 

সূত্র: আনন্দবাজার