সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ব্যবসা ও ট্যাক্স ফাঁকির হদিস উদঘাটনে চলমান তদন্তের অংশ হিসেবে নিউইয়র্ক সিটি ট্যাক্স কমিশন বরাবরে নোটিশ দিয়েছেন ম্যানহাটান ডিস্ট্রিক্ট অ্যাটর্নি সাইরাস ভ্যান্স। 

শনিবার প্রাপ্ত এ সংবাদ অনুযায়ী, নিউইয়র্কে ট্রাম্পের স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি ও ব্যবসার প্রকৃত মূল্য কত এবং তার বিপরীতে যে ট্যাক্স তিনি পরিশোধ করেছেন তা সঠিক কি না, তেমন সন্দেহ দূর করতে আইনি এ প্রক্রিয়া অবলম্বন করা হলো। 

উল্লেখ্য, বন্দকি রাখা সম্পত্তির প্রকৃতমূল্য নিয়ে সন্দেহের উদ্রেক হওয়ায় ট্রাম্পকে ঋণ প্রদানকারী সংস্থাগুলো ইতোমধ্যেই আইনি নোটিশ পাঠিয়েছে।ি অর্থাৎ বহুমুখী তদন্ত চলছে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে নিউইয়র্ক স্টেটে। এই নোটিশের পরিপ্রেক্ষিতে ট্যাক্স কমিশন ট্রাম্পের মালিকানাধীন সমস্ত ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের আয়-ব্যয়ের (ট্যাক্স প্রদানের সময় যা উল্লেখ করা হয়েছে) তথ্য প্রদান করবে।  ট্রাম্পকে ঋণ প্রদানকারী অন্তত দুটি ব্যাংককে (ডয়সে ব্যাংক এবং ল্যাডার ক্যাপিটল ফাইন্যান্স) ইতোমধ্যেই আইনি নোটিশ দিয়েছে ম্যানহাটার ডিস্ট্রিক্ট অ্যাটর্নি। এ দুটি ব্যাংক ট্রাম্পের রিয়েল এস্টেট ব্যবসায় অর্থ-ঋণ দিয়েছে।

ট্যাক্স ফাইলের সময়ে ব্যবসা ও রিয়েল এস্টেট সম্পদের যে মূল্য দেখানো হয়েছে, ঋণ গ্রহণের সময় ওসব সম্পদের মূল্য বাড়িয়ে বলা হয়েছে কি না, সেটি পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্রে জানা গেছে। যদি তেমন গড়-মিল ধরা পড়ে, তাহলে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে প্রতারণার মামলা দায়ের করা হবে। ম্যানহাটানে ট্রাম্প টাওয়ার ও ট্রাম্প প্লাজাও রয়েছে তদন্তের আওতায়। 

ট্রাম্পের বিরুদ্ধে প্রতারণা, জালিয়াতি, ট্যাক্স ফাঁকি ইত্যাদি অভিযোগের যথাযথ তদন্ত এবং মামলা পরিচালনার জন্যে ইতোমধ্যেই ম্যানহাটান ডিস্ট্রিক্ট অ্যাটর্নি কর্তৃক সাবেক ফেডারেল প্রসিকিউটর মাইক পমির‌্যান্টজকে স্পেশাল ডিস্ট্রিক্ট অ্যাটর্নি হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। নিউইয়র্ক স্টেট অ্যাটর্নি জেনারেল লেটিসা জেমসও ট্রাম্পের বিরুদ্ধে আরেকটি তদন্ত শুরু করেছেন। লেটিসার তদন্তের আওতায় রয়েছে ওরেয়স্টচেস্টারে ৭টি সম্পত্তি এবং লসএঞ্জেলেসে দ্য ট্রাম্প ন্যাশনাল গল্ফ ক্লাব।