English Version
আপডেট : ৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ১৯:৫৫

সু চি'র সরকার উৎখাত হলো যে কারণে

অনলাইন ডেস্ক
সু চি'র সরকার উৎখাত হলো যে কারণে

মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী পহেলা ফেব্রুয়ারি ঘোষণা দেয়, তারা দেশটির রাষ্ট্র ক্ষমতার নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে। সেই সাথে প্রেসিডেন্ট ও স্টেট কাউন্সিলর অং সান সু চিসহ শীর্ষ রাজনৈতিক নেতাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

কিন্তু এই সেনা অভ্যুত্থান কি পহেলা ফেব্রুয়ারি হঠাৎ করেই হয়েছে নাকি এর পেছনে কোন অনুঘটক কাজ করেছে?

বিবিসি এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ২০২০ সালের ৮ নভেম্বরের নির্বাচনের মাধ্যমে দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় আসতে চাচ্ছিল সু চি'র সরকার। এর আগে ২০১৫ সালে ২৫ নভেম্বর ২৫ বছরের মধ্যে প্রথম অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এতে সু চির এনএলডিপি জয়লাভ করে সরকার গঠন করে। তবে মিয়ানমার সরকার গত ১০ বছর কিছু কিছু ক্ষমতা ছেড়ে দিলেও দেশটির উপর কড়া নিয়ন্ত্রণ আরোপ করে চলেছিল। দেশটির সংবিধানেও সেই নিশ্চয়তা বিধান রাখা হয়েছে। পররাষ্ট্র থেকে শুরু করে গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয় সেনাবাহিনীর হাতেই ক্ষমতা ছিল। গত ২০২০ সালে করোনার মধ্যেও অনুষ্ঠিত নির্বাচনে ৭০ শতাংশেরও বেশি মানুষ ভোট দেন। এরমধ্যে ৮৩ শতাংশ মানুষ এনএলডিপিকে ভোট দেয়।  অন্যদিকে সামরিক বাহিনীর সমর্থিত ইউনিয়ন সলিডারিটি অ্যান্ড ডেভেলেপমেন্ট পার্টি পায় সামান্য ভোট। নির্বাচনে জালিয়াতির অভিযোগ তোলে সামরিক বাহিনী। এটি বাতিল করে নতুন নির্বাচনের দাবি তোলে ইউনিয়ন সলিডারিটি অ্যান্ড ডেভেলেপমেন্ট পার্টি।

গত সোমবার মিয়ানমারের সেনা অভ্যুত্থান কারণ হিসেবে সামরিক বাহিনী বলছে, গত নির্বাচনে কারচুপি হয়েছে। তবে সেটির পক্ষে খুব সামান্য প্রমাণ দেয়া হয়েছে। ভোট কারচুপির তদন্তের দাবি করেন তারা। এছাড়া ভোট তালিকা যাচাই এবং তা প্রকাশ করতে নির্বাচন কমিশনকে আহ্বান জানিয়েছে সেনাবাহিনী। সূত্র: বিবিসি

ঢাকা পোস্ট / তারেক