English Version
আপডেট : ২৩ ডিসেম্বর, ২০২০ ২০:৩১

প্রধানমন্ত্রী ওলি বনাম প্রচণ্ড, টালমাটাল নেপালের রাজনীতি

অনলাইন ডেস্ক
প্রধানমন্ত্রী ওলি বনাম প্রচণ্ড, টালমাটাল নেপালের রাজনীতি

নেপালে শাসকদলের অন্দরে কোন্দল তুঙ্গে। এক দিকে সরকার ভেঙে নিজের দলের উপর কর্তৃত্ব মজবুত করতে চাইছেন প্রধানমন্ত্রী কে পি ওলি। অন্যদিকে, পাল্টা কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠক ডেকে তাকেই দলের কো-চেয়ারম্যান পদ থেকে সরিয়ে দিলেন পুষ্পকমল দাহাল ওরফে প্রচণ্ড। ওলির পরিবর্তে নেপালের সাবেক প্রধানমন্ত্রী মাধব কুমারকে সেই পদে মনোনীত করেছেন তিনি। 

এমন পরিস্থিতিতে দেশ, প্রশাসন এবং দল সবের ভাগ্যই সুতোয় ঝুলছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। 'ওলি বনাম প্রচণ্ড'কে কেন্দ্র করে গত কয়েকমাস ধরেই টালমাটাল অবস্থা নেপালে। রবিবার সেই লড়াইকে নয়া মাত্রা দিয়ে সংসদ ভেঙে দেন প্রধানমন্ত্রী ওলি। ঘোষণা করা হয়, ৩০ এপ্রিল এবং ১০ মে দু'দফায় নির্বাচন হবে দেশে। 

এ নিয়ে নেপালজুড়ে শোরগোল পড়ে গেলে ওলি বলেন, 'আমার সরকারের বিরুদ্ধে নানা চক্রান্ত চলছিল। ঠিক ভাবে কাজ করা যাচ্ছিল না। তাই নতুন করে জনমত নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলাম।' পরিস্থিতির চাপে পড়েই তিনি এই পথে হাঁটতে বাধ্য হন বলে মন্তব্য করেন ওলি। সংসদ ভেঙে দেওয়ার ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী পরিস্থিতির দোহাই দিলেও তার পরের দিন থেকেই তিনি দলের কেন্দ্রীয় কমিটিতে ঘনিষ্ঠদের ঢোকানোর চেষ্টা শুরু করেন। যার মূল উদ্দেশ্য এই কমিটির উপর থেকে প্রচণ্ডর নিয়ন্ত্রণ আলগা করা। ঘটনাচক্রে মঙ্গলবার ৪৪৬ সদস্যের কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠক ডেকেছিলেন প্রচণ্ড। এই বৈঠকেই সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যের উপস্থিতিতে সিদ্ধান্ত হয়, কো-চেয়ারম্যানের পদ থেকে সরানো হবে ওলিকে। এই বৈঠকের কয়েকঘণ্টা আগেই অন্য একটি বৈঠক করেন ওলি। সেখানে ঠিক হয় এই কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সংখ্যা বাড়িয়ে ১,১৯৯ করা হবে। 

দায়িত্বশীল মহলের বক্তব্য, নতুন সদস্যদের প্রায় সকলেই ওলির অনুগামী। অর্থাৎ, এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হলে কেন্দ্রীয় কমিটিতে সংখ্যালঘু হয়ে পড়ত প্রচণ্ড শিবির। তবে, দলীয় স্তরে কোনও নির্বাচন কিংবা কোনও সমাবেশ ছাড়া এ ভাবে কেন্দ্রীয় কমিটির সংখ্যাবৃদ্ধি আদৌ সম্ভব কি না, তা নিয়ে দ্বিমত রয়েছে শাসকদলের অন্দরেই। সূত্র : এই সময়।