English Version
আপডেট : ২২ ডিসেম্বর, ২০২০ ০৯:৩৭

বড়দিনের মুখে ‘বয়কট’ ব্রিটেন!

অনলাইন ডেস্ক
বড়দিনের মুখে ‘বয়কট’ ব্রিটেন!

সবে করোনাভাইরাসের টিকা দেওয়া শুরু হয়েছে ব্রিটেন-আমেরিকায়। এর মধ্যেই উপস্থিত করোনার নতুন আতঙ্ক। বড়দিনের মুখে প্রায় ‘একঘরে’ ব্রিটেন। ব্যঙ্গ করে কেউ বলছেন, ইউরোপের ‘অসুস্থ দেশ’।

গত এক বছরে ক্রমাগত নিজেদের ‘চরিত্র’ বদলেছে নভেল করোনাভাইরাস। নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষা করতেই ভাইরাসের এই মিউটেশন। বর্তমানে পৃথিবীতে হাজার খানেক ‘করোনা-স্ট্রেন’ রয়েছে। কিন্তু ব্রিটেনে হাজির নতুন ‘স্ট্রেনটি’ নিয়ে আতঙ্ক ছড়ানোর অন্যতম কারণ, ১৪টি মিউটেশন ঘটেছে এই ‘স্ট্রেনে’। আর এর মধ্যে ৭টি বদলই ঘটেছে ভাইরাসের স্পাইক প্রোটিনে। যা ভাইরাসের সংক্রমণ ক্ষমতা প্রায় ৭০ শতাংশ বাড়িয়ে দিয়েছে। 

ব্রিটেন কিন্তু এই প্রকারের ভাইরাসটির উৎসস্থল নয়। এপ্রিল মাসে এর প্রথম দেখা মিলেছিল ব্রাজিলে। দক্ষিণ আফ্রিকাতে সংক্রমণ বৃদ্ধির কারণও এই স্ট্রেন। যে কোনো ভাবেই হোক, সেটি পৌঁছে গিয়েছে ব্রিটেনে। সেপ্টেম্বরে ব্রিটেনে প্রথম ধরা পড়ে ‘স্ট্রেনটি’। সরকারি ভাবে ঘোষণা করা হয়েছে ডিসেম্বরে। আর তার জেরে দেশটাকে প্রায় ‘বয়কট’ করেছে গোটা ইউরোপ। এমনকি, হংকং, কানাডাও।  গতকাল থেকেই শুরু হয়েছে বয়কট-পালা। এক এক করে সমস্ত যাত্রীবাহী ফ্লাইট বাতিল করেছে নেদারল্যান্ডস, বেলজিয়াম, সুইজারল্যান্ড, জার্মানি, ইতালি, আইরিশ রিপাবলিক। যোগাযোগ বন্ধ করার কথা ঘোষণা করেছে হংকং, কানাডা ও ভারতও।

ডোভার বন্দরে বিশৃঙ্খলা। আচমকাই ৪৮ ঘণ্টার জন্য ব্রিটেন-সীমান্ত বন্ধ করে দিয়েছে ফ্রান্স। মোটরওয়েতে লম্বা লাইন ট্রাকের। ফেরি-যোগাযোগও থমকে। অস্ট্রিয়াও নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। সব চেয়ে কড়া পদক্ষেপ করেছে বুলগেরিয়া। গতকাল মধ্যরাত থেকে ব্রিটেনে যাওয়া-আসায় নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। যা বহাল থাকবে ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত।

এই পরিস্থিতিতে জরুরি বৈঠক ডেকেছেন প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। ব্রিটেন-পরিস্থিতি নিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলিও ব্রাসেলসে জরুরি আলোচনায় বসতে চলেছে।

থমথমে পরিবেশ, বড়দিনের মৌসুমে ব্রিটেনকে চেনাই দায়। লন্ডনের ব্যস্ততম রাস্তা অক্সফোর্ড স্ট্রিটে মানুষ নেই। দোকানপাট, ক্যাফে, রেস্তোরাঁ বন্ধ। টিয়ার-৪ লকডাউন। বাড়ির বাইরে মেলামেশা যতটা সম্ভব এড়িয়ে যেতে বলা হচ্ছে।