English Version
আপডেট : ২ মার্চ, ২০১৮ ১০:৩৮

বাংলাদেশের সঙ্গে বৈঠকের আমন্ত্রণে সাড়া দেয়নি মিয়ানমার

অনলাইন ডেস্ক
বাংলাদেশের সঙ্গে বৈঠকের আমন্ত্রণে সাড়া দেয়নি মিয়ানমার

তমব্রু সীমান্তে অতিরিক্ত সেনা ও ভারী অস্ত্রশস্ত্র মোতায়েন করেছে মিয়ানমার সেনাবাহিনী। সীমান্তে মহড়াও দিয়েছে মিয়ানমার সেনারা। বাংলাদেশের পক্ষ থেকে পতাকা বৈঠকের আমন্ত্রণ জানানো হলেও তারা তাতে সাড়া দেয়নি বলে জানিয়েছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।

বৃহস্পতিবার (১ মার্চ) বিকেলে বিজিবি সদর দফতর পিলখানায় সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান বাহিনীর অতিরিক্ত মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুজিবুল হক।

সংবাদ সম্মেলনে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুজিবুল হক বলেন, বেশ কয়েকদিন যাবত সীমান্তে মিয়ানমার সেনা সদস্যরা জিরো পয়েন্টে থাকা রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে ফেরত যেতে বাধা দিচ্ছে। এটি এক ধরনের পুশিং। মিয়ানমার ওই সীমান্তে সেনা মোতায়েন বৃদ্ধি করেছে, পাশাপাশি ভারী অস্ত্র ও গোলা-বারুদের সংখ্যাও বাড়িয়েছে। তাই আমাদের সীমান্তে বিজিবির পক্ষ থেকে জনবল বৃদ্ধি করা হয়েছে। আমরা সতর্ক অবস্থানে থেকে বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করছি। যেকোনো অস্থিতিশীল পরিস্থিতির উদ্ভব হলে বিজিবির সদস্যরা দেশ মাতৃকার তরে নিবেদিত প্রাণ থেকে দায়িত্ব ও কর্তব্য পালন করবে।

বিজিবির অতিরিক্ত মহাপরিচালক আরো বলেন, ৩৪ ও ৩৫ নম্বর পোস্টের মাঝামাঝি এলাকায় মিয়ানমার সীমান্তের ১৫০ গজ ভেতরে মিয়ানমার সেনা সমাবেশ করেছে। পিকআপ, ট্রাক ও লরিতে করে ভারী অস্ত্র মোতায়েন করেছে। পারস্পরিক আলোচনা ও গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করে আমরা পতাকা বৈঠকের আহ্বান জানিয়েছি মিয়ানমারকে। তারা এখনো সাড়া দেয়নি।

তবে অবশ্যই তারা পতাকা বৈঠকের জবাব দেবে এবং এ পরিস্থিতির সমাধান পতাকা বৈঠকের মাধ্যমেই হবে বলে আশা করছেন বিজিবির অতিরিক্ত মহপরিচালক।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কিছুদিন আগে দুই দেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় পর্যায়ে বৈঠকে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর হয়েছে। তাই এমন কোনো পদক্ষেপ তাদের নেয়ার কথা নয়। তাদের নিশ্চয়ই কোনো পরিকল্পনা রয়েছে। তাদের স্ট্র্যাটেজিক প্ল্যান জানার জন্যই পতাকা বৈঠকের আহ্বান জানানো হয়েছে।

সাংবাদিকদের অপর এক প্রশ্নের জবাবে বিজিবির অতিরিক্ত মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুজিবুল হক বলেন, এখনও এমন কোনও পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়নি যে, অন্য কোনও বাহিনীর সদস্যদের জানাতে হবে। তবে স্বাভাবিকের চেয়ে মিয়ানমার অতিরিক্ত সেনা মোতায়েন করেছে বলেই আমরাও বিজিবির জনবল বৃদ্ধি করেছি। কিন্তু পরিস্থিতি আমাদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। পতাকা বৈঠকের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।