English Version
আপডেট : ২৮ জানুয়ারি, ২০১৮ ১০:১২

হ্যালি সঙ্গে পরকীয়া আছে ট্রাম্পর!

অনলাইন ডেস্ক
হ্যালি সঙ্গে পরকীয়া আছে ট্রাম্পর!

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে জাতিসংঘে মার্কিন রাষ্ট্রদূত নিকি হ্যালির বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কে গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়েছে। সাংবাদিক মাইকেল ওলফের বহুল আলোচিত বই ফায়ার অ্যান্ড ফিউরি প্রকাশের পর ট্রাম্প ও নিকি হ্যালির মধ্যে শারীরিক সম্পর্ক থাকার গুজব অফলাইন ও অনলাইনে ছড়িয়ে পড়ে। ওলফ তার বইয়ে লিখেছেন- প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তার সরকারি বিমান এয়ারফোর্স ওয়ানে তার সঙ্গে প্রচুর ব্যক্তিগত সময় অতিবাহিত করেছেন।

এছাড়া গত সপ্তাহে এক টেলিভিশন সাক্ষাৎকারে ওলফ বলেছেন, তিনি ‘শতভাগ নিশ্চিত’ যে ট্রাম্প বর্তমানে কারও একজনের সঙ্গে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে আছেন। গত বছর প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নেয়ার পর জাতিসংঘে গুরুত্বপূর্ণ পদটিতে সাউথ ক্যারোলিনার সাবেক গভর্নর হ্যালিকে বসান ট্রাম্প। গুঞ্জন রয়েছে ভবিষ্যতে রিপাবলিকান দল থেকে প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হতে পারেন হ্যালি। ওলফ দাবি করেন, প্রেসিডেন্টের বিমান এয়ারফোর্স ওয়ানে ট্রাম্প ও নিকি হ্যালি যে একান্তে সময় কাটিয়েছেন, তা তিনি নিশ্চিত।

তবে ওলফের দাবি অস্বীকার করে নিকি হ্যালি বলেন, এ কথা সম্পূর্ণভাবে মিথ্যা। ট্রাম্পের সরকারি বিমান ‘এয়ার ফোর্স ওয়ানে’ আমি আমার ব্যক্তিগত প্রচুর সময় ব্যয় করেছি বলে উলফ তার বইয়ে যে কথা বলেছেন তাতে একটি তথ্যগত ভুল রয়েছে। আমি আক্ষরিক অর্থে এয়ার ফোর্স ওয়ানে একবার গিয়েছিলাম কিন্তু তখন ট্রাম্পের রুমে বেশ কয়েকজন লোক ছিল।

এছাড়া, নিকি হ্যালি তার রাজনৈতিক ভবিষ্যত নিশ্চিত করার জন্য তিনি প্রেসিডেন্টের সঙ্গে ওভাল অফিসে বহুবার কথা বলেছেন -এমন অভিমতও নিকি হ্যালি নাকচ করেছেন। তিনি বলেন, আমি আমার ভবিষ্যত নিয়ে কখনো প্রেসিডেন্টের সঙ্গে কথা বলিনি এবং আমি কখনো একা তার রুমে যাইনি।

২০ বছর আগে নিকি হ্যালি বিয়ে করেছেন এবং তার দুই সন্তান রয়েছে। তিনি ছিলেন প্রথম কোনো নারী গভর্নর যিনি সাউথ ক্যারোলাইনাতে নির্বাচিত হয়েছিলেন এবং তিনি বর্তমানে জাতিসংঘে মার্কিন রাষ্ট্রদূত হিসেবে কাজ করছেন। তার বিরুদ্ধে ছড়িয়ে পড়া গুঞ্জনকে তিনি সফল নারীর পথে বাধা সৃষ্টির চেষ্টা বলে মন্তব্য করেন।

তবে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে এক ডজনেরও বেশি নারী যৌন হয়রানির অভিযোগ করেছেন এবং ট্রাম্প তা অস্বীকার করেছেন। গত মাসে সিএনএন পরিচালত এক জরিপে দেখা গেছে- আমেরিকার শতকরা ৬১ ভাগ মানুষ বিশ্বাস করেন যে, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এসব যৌন হয়রানি করেছেন তবে শতকরা ৩২ ভাগ মানুষ বলেছেন, এসব অভিযোগের বেশিরভাগই সত্য নয়।

নিকি হ্যালি এর আগে বলেছিলেন, যেসব নারী ট্রাম্পের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ করছেন তাদের বক্তব্য শোনা উচিত।