English Version
আপডেট : ২ ডিসেম্বর, ২০১৭ ১৪:৪৪

এফবিআইকে মিথ্যা তথ্য দেয়ার কথা স্বীকার ফ্লিনের

অনলাইন ডেস্ক
এফবিআইকে মিথ্যা তথ্য দেয়ার কথা স্বীকার ফ্লিনের

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাবেক জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইকেল ফ্লিন দেশটির গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআই’কে মিথ্যা তথ্য দেয়ার কথা স্বীকার করেছেন। আদালতে তার বিরুদ্ধে মিথ্যা তথ্য দেয়ার যে অভিযোগ আনা হয়েছিল এবার তার এই স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে ফ্লিনের সর্বোচ্চ পাঁচ বছরের কারাদণ্ড হতে পারে।

২০১৬ সালের নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্প আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হওয়ার কয়েক সপ্তাহ আগে ফ্লিন ওয়াশিংটনে নিযুক্ত রাশিয়ার রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছিলেন। কিন্তু এফবিআইকে দেয়া সাক্ষ্যে ফ্লিন দাবি করেছিলেন, রুশ রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে তার সাক্ষাৎ হয়নি।

মাইকেল ফ্লিন শুক্রবার স্বীকার করেন, ২০১৬ সালের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রাশিয়ার হস্তক্ষেপের অভিযোগ তদন্তের সময় তিনি এফবিআইকে ‘মিথ্যা, বানোয়াট ও ভুল তথ্য’ সরবরাহ করেছিলেন। এ ছাড়াও তিনি এখন থেকে এই তদন্তে মার্কিন নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের সহযোগিতা করতেও রাজি হয়েছেন।

মাইকেল ফ্লিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধেও সাক্ষ্য দিতে সম্মত হয়েছেন। ২০১৬ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সময় ট্রাম্পই যে ফ্লিনকে রুশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলেছিলেন সেকথাও তিনি আদালতকে জানাতে রাজি হয়েছেন।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রাশিয়ার হস্তক্ষেপের অভিযোগ তদন্তকারী প্রধান কর্মকর্তা রবার্ট মুলার সাবেক মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইকেল ফ্লিনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগ আনেন। ফ্লিন হচ্ছেন ট্রাম্প প্রশাসনের সবচেয়ে সিনিয়র কর্মকর্তা যিনি এই অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হতে যাচ্ছেন।

মাইকেল ফ্লিনের এই স্বীকারোক্তি ও অভিযুক্ত হওয়ার ঘটনা প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের জন্য ভয়াবহ পরিণতি বয়ে আনতে পারে বলে পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন।

মাইকেল ফ্লিন মার্কিন ফেডারেল পুলিশের কাছে আত্মসমর্পন করেছেন বলেও জানা গেছে। রুশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে তার গোপন যোগাযোগের বিষয়টি গণমাধ্যমে ব্যাপকভাবে প্রচারিত হওয়ার পর চলতি বছরের ১৩ ফেব্রুয়ারি মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন মার্কিন সেনাবাহিনীর সাবেক এই জেনারেল। পার্সটুডে