English Version
আপডেট : ২৬ অক্টোবর, ২০১৭ ১৯:১২

নওয়াজ শরীফের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

অনলাইন ডেস্ক
নওয়াজ শরীফের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

পাকিস্তানের ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। দুর্নীতি সংক্রান্ত দুইটি মামলায় দেশটির একটি আদালত আজ বৃহস্পতিবার এই পরোয়ানা জারি করে। পানামা পেপার্সে ফাঁস হওয়া তথ্যের ভিত্তিতে তার বিরুদ্ধে এসব মামলা দায়ের করা হয়। তার আইনজীবী জহির খান গণমাধ্যমকে বলেন, দুর্নীতির অভিযোগে দায়ের করা দুইটি মামলায় আদালত সাবেক এ প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে জামিনযোগ্য গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি এবং আগামী ৩ নভেম্বর পর্যন্ত শুনানি মুলতবি ঘোষণা করেছে। প্রসঙ্গত তিনি ও তার স্ত্রী কলসুমের সঙ্গে বর্তমানে লন্ডনে রয়েছেন। সেখানে তার স্ত্রীর ক্যান্সার চিকিৎসা চলছে। এর আগে গত জুলাই মাসে সর্বোচ্চ আদালতে অযোগ্য ঘোষিত হওয়ার পর পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী পদ ছাড়েন নওয়াজ শরিফ। পানামা পেপারসে ফাঁস হওয়া তথ্যে জানা যায়, নওয়াজ (৬৭) ও তার পরিবারের সদস্যরা বিপুল পরিমাণ অর্থ বিদেশে পাচার করেছেন। এই অভিযোগের তদন্ত করতে আদালতের নির্দেশে যৌথ তদন্ত দল (জেআইটি) গঠন করা হয়। জেআইটির তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, নওয়াজ ও তার পরিবারের সদস্যরা তাদের নামে থাকা বিপুল পরিমাণ সম্পদের উৎস জানাতে ব্যর্থ হয়। নওয়াজ ও তার পরিবারের সদস্যরা অবশ্য শুরু থেকেই সব অভিযোগ অস্বীকার করে আসছিলেন। গত বছর পানামাভিত্তিক আইনি সেবাপ্রতিষ্ঠান মোসাক ফনসেকার ১ কোটি ১৫ লাখ গোপন নথি প্রকাশ করে। তাতে বিশ্বের বহু ক্ষমতাধর, ধনী ও প্রভাবশালী ব্যক্তির বিরুদ্ধে বিপুল অর্থ পাচারের অভিযোগ সামনে আসে; যা বিশ্বে পানামা পেপারস কেলেঙ্কারি নামে পরিচিতি পায়। এরই নথিতে নওয়াজ ও তার চার ছেলেমেয়ের মধ্যে ৩ জনের নাম আসে। ২০১৩ সালে সাধারণ নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে তৃতীয়বারের মতো প্রধানমন্ত্রী হন নওয়াজ। এর আগের দুইবারও প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মেয়াদ পূর্ণ করতে পারেননি তিনি। এর মধ্যে ১৯৯৯ সালে সামরিক অভ্যুত্থানে ক্ষমতা হারান নওয়াজ। প্রথমবার ১৯৯০ থেকে ১৯৯৩ এবং দ্বিতীয়বার ১৯৯৭ থেকে ১৯৯৯ সাল পর্যন্ত ক্ষমতা ছিলেন তিনি। ১৯৯৩ সালেও দুর্নীতির দায়ে প্রধানমন্ত্রীর পদ ছাড়তে হয় নওয়াজকে।