English Version
আপডেট : ২ সেপ্টেম্বর, ২০১৭ ০৬:১৮

রোহিঙ্গা ইস্যুতে রাষ্ট্রপতিকে এরদোগানের ফোন

অনলাইন ডেস্ক
রোহিঙ্গা ইস্যুতে রাষ্ট্রপতিকে এরদোগানের ফোন

তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান টেলিফোনে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদদের সঙ্গে কথা বলেছেন। বৃহস্পতিবার রাতে এরদোগান টেলিফোন করে তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে বিদ্যমান বন্ধুপ্রতীম সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা করেন। একই সঙ্গে তিনি মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর নির্যাতনের মুখে রাখাইন থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে আসা সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা এবং বাংলাদেশের সাম্প্রতিককালের বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের বিষয়ে খোঁজখবর নেন।

এরদোগান রাখাইনে বিরাজমান পরিস্থিতি, রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর নিপীড়ন ও মাত্রাতিরিক্ত শক্তি প্রয়োগে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন। সেই সঙ্গে এ যাবৎকালে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর সহায়তা এবং চলমান সমস্যা সমাধানে বাংলাদেশ সরকারের গৃহিত পদক্ষেপের ভূয়সী প্রশংসা এবং বাংলাদেশের প্রতি তুরস্কের সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেন তিনি। শুক্রবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে সংবাদমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, তুরস্কের প্রেসিডেন্ট বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতিকে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে রোহিঙ্গা ইস্যুতে তুরস্কের গৃহিত পদক্ষেপ অবহিত করেন। সমস্যা নিরসনে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ফোরামে তুরস্কের প্রয়াস অব্যাহত থাকবে বলেও আশ্বাস দেন তিনি। বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি তার এবং দেশের জনগণের পক্ষ থেকে তুরস্কের প্রেসিডেন্টকে পবিত্র ঈদুল আজহার শুভেচ্ছা জানান। টেলিফোন করা এবং বাংলাদেশের প্রতি সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করায় তুরস্কের প্রেসিডেন্টকে ধন্যবাদ জানান আবদুল হামিদ। তিনি অত্যাচার ও দমন-পীড়নের শিকার রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর জন্য ৩০ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলাদেশ সরকারের গৃহিত পদক্ষেপ তাকে অবহিত করেন। বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘সীমিত সম্পদ ও অন্যান্য সীমাবদ্ধতা থাকা সত্ত্বেও বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক আইন এবং রীতি-নীতি মেনে মিয়ানমার থেকে আগত রোহিঙ্গা মুসলিমদের সর্বাত্মক সহযোগিতা দিচ্ছে। বিপুলসংখ্যক রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর অবস্থানের ফলে সংশ্লিষ্ট এলাকায় পরিবেশগত ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হওয়া সত্ত্বেও বাংলাদেশ তাদের প্রতি খাদ্য, বাসস্থান, ওষুধ, শিক্ষা ও অন্যান্য সব সুবিধাদি প্রদান অব্যাহত রেখেছে।’ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ অবিলম্বে সহিংসতা থেকে রোহিঙ্গাদের রক্ষা, মিয়ানমারের সাধারণ নাগরিকদের সুরক্ষা নিশ্চিত করা এবং কফি আনান কমিশনের সুপারিশসমূহ বাস্তবায়নের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। টেলিফোন আলাপে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোগানকে সুবিধাজনক সময়ে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান রাষ্ট্রপ্রতি আবদুল হামিদ। এরদোগানও আমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে বাংলাদেশে আসার ইচ্ছেপোষণ করেন।