এবার চিফ স্ট্র্যাটেজিস্টকে বরখাস্ত করলেন ট্রাম্প

ট্রাম্প প্রশাসনের শীর্ষ ব্যক্তিদের বরখাস্তের তালিকায় এবার যুক্ত হলো স্টিভ ব্যাননের নাম। শুক্রবারই হোয়াইট হাউজে যে তার শেষ দিন ছিল, সে কথা প্রেস সেক্রেটারি সারা স্যান্ডার্স নিশ্চিত করেছেন।
জানা গেছে, চিফ অব স্টাফ জন কেলির সাথে আলোচনার পরই প্রেসিডেন্টের 'চিফ স্ট্র্যাটেজিস্ট' পদটি ছাড়তে হলো স্টিভ ব্যাননকে।
শার্লটসভিলে শ্বেতাঙ্গ শ্রেষ্ঠত্ববাদীদের মিছিলে কিছু 'ভালো মানুষও' ছিল- এমন বক্তব্য দিয়ে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প যখন বিশ্বজুড়ে সমালোচিত হচ্ছেন, সেই প্রেক্ষাপটে চাকরি হারালেন ব্যানন। অথচ ক্ষমতায় আসার পর ডোনাল্ড ট্রাম্প ডানপন্থী জাতীয়তাবাদী ব্যাননের জন্যই এই পদটি সৃষ্টি করেছিলেন।
ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রচারণায় 'আমেরিকা ফার্স্ট' দর্শনকে একটি গ্রহণযোগ্য পর্যায়ে নিয়ে যাবার ক্ষেত্রে ব্যাননের বড় ভূমিকা ছিল। ট্রাম্পের জয়ের অন্যতম কারিগর বলেও মনে করা হয় তাকে।
কিন্তু সমালোচকদের অভিযোগ ছিল, ব্যানন অ্যান্টি-সেমেটিক এবং শ্বেতাঙ্গ জাতীয়তাবাদীদের পৃষ্ঠপোষকতা করছেন। তিনি হোয়াইট হাউজের অন্য পরামর্শক এবং ট্রাম্প পরিবারের সাথেও দ্বন্দ্বে জড়িয়েছিলেন বলে শোনা যায়।
আরো শোনা যায়, রিপাবলিকান দলের কয়েকজনের সাথেও ব্যাননের তৈরি হয়েছিল শত্রুতা। সেই সাথে মতে মিল ছিল না হোয়াইট হাউজের শীর্ষ কর্মকর্তা ম্যাক মাস্টার এবং জেনারেল কেলির সাথেও।
এদিকে প্রেসিডেন্টের জাতীয় অর্থনৈতিক কাউন্সিলের উপদেষ্টা গ্যারি কোন, কন্যা ইভানকা ট্রাম্প এবং তার স্বামী জারেড কুশনারও তাকে কিছু ক্ষেত্রে হুমকি হিসেবে বিবেচনা করছিলেন।
উগ্র ডানপন্থী সংবাদমাধ্যম ব্রাইবার্ট নিউজের সাবেক প্রধান ব্যানন তার পুরানো কর্মক্ষেত্রে ফিরে যাচ্ছেন জানিয়ে বলেছেন, তিনি বরাবরের মতোই ট্রাম্পের পক্ষে থেকে তার রাজনীতি, বাণিজ্য আর সংবাদমাধ্যমের শত্রুদের মোকাবিলা করবেন।
এদিকে ব্যাননের চলে যাবার মধ্যে দিয়ে হোয়াইট হাউজের অস্থিতিশীলতা আরও প্রকট হলো।
এর আগে জুলাই মাসেই ট্রাম্প প্রশাসন থেকে চলে যেতে হয় যোগাযোগ উপদেষ্টা অ্যান্থনি স্কারামুচি, চিফ অফ স্টাফ রায়ান্স প্রিবাস এবং মুখপাত্র শন স্পাইসারকে। আর এ বছরের শুরুতে চাকরি হারান এফবিআই ডিরেক্টর জেমস কোমি এবং জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইকেল ফ্লিন।
সূত্র : বিবিসি বাংলা