English Version
আপডেট : ৬ আগস্ট, ২০১৭ ১০:১০

দাবদাহে বছরে মারা যেতে পারে ইউরোপের দেড় লাখ মানুষ

দাবদাহে বছরে মারা যেতে পারে ইউরোপের দেড় লাখ মানুষ

 

 

বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনের সবচেয়ে ভয়ংকর ধাক্কাটি হয়তো সামলাতে হবে ইউরোপকে। আর তা না পারলে এই শতকের শেষ নাগাদ চরমভাবাপন্ন আবহাওয়ার কারণে সেখানে বছরে দেড় লাখের বেশি মানুষ মারা যেতে পারে। ইউরোপীয় কমিশনের এক যৌথ গবেষণায় এই আশঙ্কা প্রকাশ পেয়েছে। 

 

‘দ্য ল্যানসেট প্লানেটারি হেলথ’ সাময়িকীতে ওই গবেষণা থেকে পাওয়া তথ্য নিয়ে একটি আর্টিকেল প্রকাশিত হয়েছে। সেই গবেষণা-প্রবন্ধে বলা হয়েছে, ওই সময়ে ইউরোপে প্রতি তিনজনের মধ্যে দুজন বিপর্যয়ের শিকার হবে। বিশ শতকে এই হার ছিল ২০ জনে একজন। উদ্বিগ্ন গবেষকরা উপকূলীয় এলাকার বন্যা ভয়াবহভাবে বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কার কথাও জানিয়েছেন।

 

ইতালির ইউরোপিয়ান কমিশনের জয়েন্ট রিসার্চ সেন্টারের তথ্য অনুযায়ী, গ্রিনহাউজ গ্যাস নির্গমন কমানোর ব্যবস্থা ও চরমভাবাপন্ন আবহাওয়া প্রভাব ঠেকানোর ব্যবস্থা না করা হলে ২০৭১ থেকে ২১০০ সালের মধ্যে মৃত্যুসংখ্যা ১ লাখ ৫২ হাজারে ঠেকবে। এসব ক্ষতিকর প্রভাবের ৯৯ শতাংশই ঘটতে পারে তাপপ্রবাহের কারণে। সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হতে পারে দক্ষিণ ইউরোপ। গবেষকেরা তাপপ্রবাহ, শৈত্যপ্রবাহ, খরা, দাবানল, উপকূলীয় এলাকায় বন্যা ও ঘূর্ণিঝড় বিশ্লেষণ করে এমন আশঙ্কার কথা জানিয়েছেন।

 

গবেষক জিওভান্নি ফরজিয়েরি বলেন, ‘একুশ শতকে মানবস্বাস্থ্যের জন্য অন্যতম বড় হুমকি জলবায়ু পরিবর্তন। যদি বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধির বিষয়টিকে জরুরি বিবেচনা করে সঠিক পদক্ষেপ নেওয়া না যায়, তবে প্রাকৃতিক দুর্যোগ বাড়তে থাকবে।

 

এই শতকের শেষ নাগাদ বার্ষিক ভিত্তিতে ৩৫ কোটি ইউরোপীয়ের ওপর ক্ষতিকর আবহাওয়ার প্রভাব পড়বে।’ এই গবেষণার খবর এমন সময় সংবাদমাধ্যমে এলো যখন জাতিসংঘে চিঠি পাঠিয়ে প্যারিসের জলবায়ু অঙ্গীকার ত্যাগের প্রক্রিয়া শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্র। বিবিসি ও সিএনএন।