English Version
আপডেট : ৪ আগস্ট, ২০১৭ ১৫:৪৯

২০৫০ নাগাদ বিশ্বে অন্ধত্বের হার বাড়বে তিন গুণ

অনলাইন ডেস্ক
২০৫০ নাগাদ বিশ্বে অন্ধত্বের হার বাড়বে তিন গুণ

 

 

ল্যানচেট গ্লোবাল হেলথ নামক জার্নালে প্রকাশিত এক গবেষণায় বলা হয়েছে, আগামী চার দশকের মধ্যে বিশ্বে অন্ধ মানুষের সংখ্যা বেড়ে তিন গুণ হবে। আরো বেশি অর্থায়নের মাধ্যমে এর প্রতিকারে ব্যবস্থা গ্রহণ না হলে ২০৫০ সাল নাগাদ অন্ধ মানুষের সংখ্যা ৩ কোটি ৬০ লাখ থেকে বেড়ে দাঁড়াবে ১১ কোটি ৫০ লাখে। মূলত বয়স্ক মানুষজনই হবেন এর প্রধান শিকার।

 

বিশ্বে অন্ধত্ব এবং দৃষ্টি ক্ষয়ে ‍সবচেয়ে এগিয়ে আছে দক্ষিণ এশিয়া এবং সাব সাহারা আফ্রিকা। গবেষণায় বলা হয়, বিশ্বের মোট জনসংখ্যার দিক থেকে তুলনা করলে দৃষ্টি হারানোর হার আগের চেয়ে কমছে। কেননা বিশ্বে জনসংখ্যা বৃদ্ধির সাথে সাথে আগের চেয়ে অনেক বেশি মানুষ বৃদ্ধ বয়সে ভাল থাকছে। কিন্তু আগামী কয়েক দশকের মধ্যে এ চিত্র আমূল পাল্টে যাবে।

 

১৮৮টি দেশের তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে ২০ কোটিরও বেশি লোক মধ্য মাত্রার দৃষ্টি ক্ষয় রোগে ভুগছেন। এই সংখ্যা ২০৫০ সালের মধ্যে বেড়ে ৫৫ কোটিতে দাঁড়াবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। গবেষণার প্রধান লেখক ইংল্যান্ডের অ্যাংলিয়া রাসকিন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক রুপার্ট বোর্নি বলেন, মধ্য মাত্রার দৃষ্টি ক্ষয়ও একজন মানুষের ব্যক্তিগত জীবনে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলতে পারে। যেমন, এধরনের চোখের সমস্যায় গাড়ি চালানোর অনুমতি দেয়া হয় না। তখন তাকে বাধ্য হয়েই গাড়ি চালানোর জন্য অন্যের উপর নির্ভর করতে হয়। তাই এর সাথে অর্থনৈতিক বিষয়টিও জড়িত।

 

রোপার্ট বোর্নি চোখের এই সমস্যার প্রতিকারে বিনিয়োগের বাড়ানোর আহ্বান জানান। যেমন, চোখের ছানি অপারেশন এবং দৃষ্টি স্বাভাবিক রাখতে চশমা সহজলভ্য করা। তার মতে, অন্ধত্ব প্রতিরোধ করার জন্য এই বিনিয়োগ করলে বিনিয়োগকারী দেশও লাভবান হবে। কারণ এই বিনিয়োগে আয় হবে বহুগুণ বেশি।

 

উন্নয়নশীল দেশগুলোতে খুব সহজেই এসব অন্ধত্ব প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা সম্ভব। এসব ব্যবস্থা একদিকে যেমন সস্তা, অপরদিকে অবকাঠামোর প্রয়োজনও হয় খুব কম। আর অন্ধত্ব থেকে ফিরে আসা লোকজন আবার কাজে যোগ দিলে চিকিৎসাখরচও তুলে আনতে সক্ষম হবে। এসব দেশে চিকিৎসা ব্যবস্থার উন্নতি সহ আরো বেশি সার্জন এবং সেবিকাদের প্রশিক্ষণ দেওয়া প্রয়োজন যাতে করে তারা চোখের টেকসই চিকিৎসা সেবা দিতে পারে।

 

সাইটসেভার নামের একটি দাতব্য প্রতিষ্ঠান যারা ৩০টিওর বেশি দেশে দূর করা সম্ভব এমন অন্ধত্ব নিয়ে কাজ করে। তারা জানিয়েছে, চোখে ছানি পড়ার হার আগের চেয়ে বাড়ছে। তাই অবিলম্বেই অন্ধত্ব দূরীকরণ প্রকল্পে বিনিয়োগ শুরু করা দরকার।

সূত্র: বিবিসি