English Version
আপডেট : ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৬ ১৫:২৪

‘রক্ত আর পানি একত্রে বইতে পারে না’

অনলাইন ডেস্ক
‘রক্ত আর পানি একত্রে বইতে পারে না’

রক্ত আর পানি কখনো একসঙ্গে বইতে পারে না। সাম্প্রতিক ভারত-পাক অস্থিরতার প্রেক্ষিতে সোমবার সিন্ধু জলচুক্তি পর্যালোচনা বৈঠকে ভাষণ দিতে গিয়ে এমনই মন্তব্য করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।   উরি হামলায় ১৮ জন জওয়ানের মৃত্যুর জবাবে পাকিস্তানকে সমুচিত শিক্ষা দিতে সিন্ধু জলচুক্তি খতিয়ে দেখতে এদিন উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল, বিদেশ সচিব এস জয়শঙ্কর এবং প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের শীর্ষ কর্মকর্তারা। ১৯৬০ সালে দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরু এবং প্রাক্তন পাক প্রেসিডেন্ট আয়ুব খান স্বাক্ষরিত ওই চুক্তি অনুযায়ী, বিপাশা, ইরাবতী, শতদ্রু, সিন্ধু, চন্দ্রভাগা ও বিতস্তা নদীর জল দুই দেশের মধ্যে ভাগ হয়। এর মধ্যে পাঞ্জাবের ওপর দিয়ে বয়ে চলা বিপাশা, ইরাবতী এবং শতদ্রু নদীর জল নিয়ন্ত্রণ করে ভারত। অন্যদিকে জম্মু ও কাশ্মীর থেকে উত্‍সারিত সিন্ধু, চন্দ্রভাগা ও বিতস্তা নদীর জল নিয়ন্ত্রণ করে পাকিস্তান।   গত সপ্তাহেই পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বিকাশ স্বরূপ জানিয়েছিলেন, সিন্ধু জলচুক্তি কার্যকর করা নিয়ে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে মত পার্থক্য দেখা দিয়েছে। জম্মু ও কাশ্মীরের উপ-মুখ্যমন্ত্রী নির্মল সিংও জানিয়েছেন, জলচুক্তি সম্পর্কে কেন্দ্র যে সিদ্ধান্ত নেবে, তা পূর্ণ সমর্থন জানাবে তাঁর রাজ্য। তাঁর দাবি, ‘ওই চুক্তির ফলে নদীর জল পুরোপুরি কাজে লাগাতে না পেরে জম্মু ও কাশ্মীরের মানুষ বিরাট ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন। বিশেষ করে, জম্মুতে কৃষি ও অন্যান্য প্রকল্পে চন্দ্রভাগা নদীর জল ব্যবহার না করতে পারা কারণে বিপুল ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।’   সূত্র: এই সময়