English Version
আপডেট : ৮ জুলাই, ২০১৬ ১৮:৪৮

জাকির নায়েকের পাশে জম্মু ও কাশ্মীরের অনুসারীরা

অনলাইন ডেস্ক
জাকির নায়েকের পাশে জম্মু ও কাশ্মীরের অনুসারীরা

কায় সন্ত্রাসী হামলায় ২২ জনকে হত্যাকারীদের একজন জাকির নায়েকের অনুসারী রয়েছেন বলে যে প্রচারণা চলছে তার বিরুদ্ধে কয়েকজন ব্যক্তি উদ্যোগে প্রতিবাদ সমাবেশ করেছেন জম্মু ও কাশ্মীরে।

প্রতিবাদকারীরা ‘জাকির নায়েক আমরা তোমাকে ভালোবাসি’ এবং ‘ডা. জাকির নায়েক কাশ্মীর তোমার পাশে আছে’ লেখা পোষ্টার নিয়ে সমাবেশ করেছেন।

ইতোমধ্যে, কাশ্মীরের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং শুক্রবার বলেছেন, জাকির নায়েকের বক্তব্যের সিডিসমূহ পরীক্ষা করা হবে। কোনো ধরণের উসকানির প্রমাণ পাওয়া গেলে তাকে গ্রেফতার করা হবে। সরকার সন্ত্রাসবাদ ইস্যুতে কোনো সহমর্মিতা দেখাবে না।

তিনি বলেন, জাকির নায়েকের আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত সব বিষয় পরীক্ষা নিরীক্ষা করা হবে।

এর আগে গত বৃহস্পতিবার মহারাষ্ট্রের পুলিশ কমিশনারকে ডা. জাকির নায়েকের বিষয়ে তদন্ত করে রিপোর্ট দিতে বলেছেন রাজ্যটির মূখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফাদনাভিস।

বৃহস্পতিবার সকালে তিনি জাকির নায়েকের বক্তব্যকে ‘অত্যন্ত আপত্তিকর’বলে মন্তব্য করেছেন।

মহারাষ্ট্রের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী মি. ভেনকাইয়াহ নাইডু বলেছেন, পর্যাপ্ত যাচাই বাছাইয়ের পর ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এ ব্যাপারে উদ্যোগ নিতে পারে। 

নাইডু সাংবাদিকদের বলেন, গণমাধ্যমে জাকির নায়েকের যেসব বক্তব্য প্রচার করা হচ্ছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয় সেগুলো যাচাই বাছাই করে দেখতে পারে যে সেটা ‘অত্যন্ত আপত্তিকর’ কিনা। এরপর এ বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে পারে তারা।

ভারতের মহারাষ্ট্রে জন্ম নেওয়া জাকির আবদুল করিম নায়েক পেশায় একজন চিকিৎসক। ৫০ বছর বয়সী এই বক্তা ইসলামিক রিসার্চ ফাউন্ডেশনের প্রেসিডেন্ট। পিস টিভি ওই ফাউন্ডেশনেরই অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।

জাকির নায়েকের বিরুদ্ধে তদন্তের ব্যাপারে মুম্বাই পুলিশ কমিশনার বলেছেন, তদন্ত চলছে। নিশ্চিত হলে প্রয়োজনে জাকির নায়েকর সঙ্গে কথা বলা হবে। তিনি বর্তমানে সৌদি আরব সফরে রয়েছেন।

গত বৃহস্পতিবার জাকির নায়েকের ৫টি ভিডিও প্রকাশিত হয়েছে। পিস টিভিতে বিভিন্ন সময়ে দেওয়া বক্তব্য থেকে সংকলিত এসব ভিডিওতে বলা হয়েছে, ভারতীয় মিডিয়া সংবাদ পরিবেশনে মানদণ্ড অনুসরণ করছে না।

এদিকে কেন্দ্রীয় তথ্য মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা গণমাধ্যমকে বলেছেন, পিসি টিভি সম্প্রচারের বৈধ নিবন্ধন নেই। ২০০৯ সালে সম্প্রচারের অনুমতি চেয়ে সরকারের কাছে আবেদন জানালেও তা দেওয়া হয়নি। দুবাইভিত্তিক বেসরকারি এ টেলিভিশন ২৪টি অনুমতিহীন চ্যনেলের মাধ্যমে ভারতসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে সম্প্রচার হচ্ছে।