English Version
আপডেট : ৪ জুলাই, ২০১৬ ১১:৫০

ইতালিতে বাংলাদেশিদের ওপর নজরদারি বেড়েছে

অনলাইন ডেস্ক
ইতালিতে বাংলাদেশিদের ওপর নজরদারি বেড়েছে

গুলশানে সন্ত্রাসী হামলার প্রেক্ষিতে ইতালিতে বসবাসরত বাংলাদেশিদের ওপর নজরদারি শুরু হয়েছে বলে জানান প্রবাসীরা। ঘটনার পর থেকেই বিশেষ করে মসজিদগুলোতে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর আনাগোনা বেড়েছে। ইতালিতে প্রায় এক লাখের বেশি বাংলাদেশির বসবাস।

রোমে প্রবাসী বাংলাদেশি ব্যবসায়ী ইউসুফ আলী বলেন, "আমার বাসার সামনের মসজিদেই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা ঘুরে গেছেন। তারা বলেছেন আবার আসবেন"।

কম্যুনিটির পক্ষ থেকেও বাংলাদেশিদের সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে বলে জানান এই প্রবাসী। রাস্তায় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর লোকজন বেশি দেখা যাচ্ছে এবং এরা ডকুমেন্ট চেক করছে। অনেক বাংলাদেশি এখন আতঙ্কে রয়েছেন।

গুলশান হামলায় যে ১৭ জন বিদেশী নিহত হয়েছেন তাদের মধ্য সর্বোচ্চ নয় জনই ইতালীয়। ঘটনার পর থেকে ইতালীয় সংবাদমাধ্যমে বিষয়টি বেশ গুরুত্বের সঙ্গে প্রকাশিত হচ্ছে। সেখানে বাংলাদেশ সরকার এবং রাজনীতিবিদদের সমালোচনা করা হচ্ছে। ইতালির রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন রাই নিউজের সংবাদ বিশ্লেষণে এই হামলার জন্য বাংলাদেশের দুই প্রধান দলকে সরাসরি দায়ী করা হয়েছে। এতে বাংলাদেশের সাম্প্রতিক হত্যাকাণ্ডসমূহের ধারাবাহিকতার উল্লেখ করে বলা হয়েছে, দোষারোপের রাজনীতিই গুলশানের এই হামলার রাস্তা তৈরি করেছে।

ভেনিসে বসবাসরত বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত সাংবাদিক পলাশ রহমান জানিয়েছেন, তিনি স্কাই নিউজের একটি আলোচনা অনুষ্ঠান দেখছিলেন যেখানে বক্তারা বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ‘একনায়ক’ এবং বিরোধী নেত্রী খালেদা জিয়াকে ‘ইসলামপন্থীদের নেতা’ হিসেবে বর্ণনা করছিলেন।

প্রবাসী ব্যবসায়ী আলী বলেন, ইতালিতে বাংলাদেশিদের বেশ সুনাম রয়েছে এবং এই ঘটনার ফলে বাংলাদেশিদের সম্পর্কে একটি ভুল ধারণা তৈরি হয়েছে।

উল্লেখ্য, নিহত নয় জন ইতালিয়ানের নাম এবং পরিচয় প্রকাশ করেছে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এরা হলেন, খ্রিশ্চিয়ান রসি, নাদিয়া বেনেদেত্তি, মার্কো টনদাত, অ্যাডেলে পুলেজি, সিমোনা মন্টি, ক্লডিয়া মারিয়া দ’আন্তনা, ভিনসেনজো দ’ অ্যালেস্ট্রো, মারিয়া রিভোলি এবং ক্লডিও কাপেলি।