শ্রদ্ধা ও ভালবাসায় কিংবদন্তি মুষ্টিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলীকে শেষ বিদায় জানিয়েছেন ভক্ত ও স্বজনরা। যুক্তরাষ্ট্রের কেনটাকির লুইসভিলে বিভিন্ন ধর্ম ও বর্ণের মানুষ অংশ নেন আলীর শেষকৃত্যানুষ্ঠানে। পরিবার ও ঘনিষ্ঠ বন্ধুদের উপস্থিতিতে তাকে দাফন করা হয়। অসংখ্য মানুষ দাঁড়িয়ে ছিলেন লুইসভিলের রাস্তায় মোহাম্মদ আলীর কফিন বহনকারী গাড়িটিকে দেখতে। খবর- বিবিসি বাংলা

কোরান পাঠ দিয়ে শুরু হয় আলীকে শ্রদ্ধা আর স্মরণের অনুষ্ঠান। এরপর মুসলিম, ক্রিশ্চিয়ান, ইহুদিসহ বিভিন্ন ধর্ম ও বর্ণের মানুষ অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন।

তারা বক্তব্যে মুহাম্মদ আলীর খেলা, সামাজিক আর রাজনৈতিক অর্জন, শান্তি ও মানবাধিকার রক্ষায় তার ভূমিকার কথা তুলে ধরেন। সবসময় ন্যায় ও নীতির পক্ষে তার শক্ত অবস্থান নেওয়ার কথাও উঠে আসে এ সময়। পঞ্চাশটির বেশি দেশ থেকে মানুষ এই অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছেন।

অনুষ্ঠানে থাকতে না পারলেও মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা এক বিবৃতিতে আলীকে বিশাল, উজ্জ্বল আর তার যুগের সবচেয়ে প্রভাবশালী ব্যক্তি বলে বর্ণনা করেছেন। এর আগে লুইসভিলের রাস্তাগুলোর দুই পাশে সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে হাজার হাজার মানুষ আলীকে শেষবারের মতো দেখে নেন। সকাল থেকেই লুইসভিলের রাস্তার দু’ধারে ছিল ভক্তদের ভিড়। এই শহরেই জন্মগ্রহণ করেন তিনি, বেড়ে উঠেছেন এখানেই। বৃহস্পতিবার ইসলামী রীতি অনুযায়ী মুহাম্মদ আলীর শেষকৃত্যানুষ্ঠান সম্পন্ন হয়।

যে বাড়িতে তার জন্ম হয়েছে, যে স্কুলে তিনি পড়েছেন, যেসব এলাকায় তিনি বড় হয়ে উঠেছেন, এসব রাস্তা সামনে দিয়ে তার ফুলে সাজানো কফিন নিয়ে একটি গাড়ি প্রায় শহরের প্রায় উনিশ কিলোমিটার রাস্তা প্রদক্ষিণ করে।

শুধুমাত্র তার পরিবার আর ঘনিষ্ঠ বন্ধুদের উপস্থিতিতে কেভ হিলের কবরস্থানে তাকে সমাহিত করা হয়। গত ৩ জুন চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান ৭৪ বছর বয়সী মোহাম্মদ আলী।