English Version
আপডেট : ২৫ এপ্রিল, ২০১৬ ০৯:৪৩

মেক্সিকোতে ছাত্র নিখোঁজ তদন্তে বাধার অভিযোগ

অনলাইন ডেস্ক
মেক্সিকোতে ছাত্র নিখোঁজ তদন্তে বাধার অভিযোগ

মেক্সিকোর সরকারের বিরুদ্ধে ৪৩ জন ছাত্র নিখোঁজের তদন্তে বাধা সৃষ্টির অভিযোগ এনেছে আন্তর্জাতিক তদন্তকারী দল। ২০১৪ সালের সেপ্টেম্বর মাসে নিখোঁজ হন এই ৪৩ জন শিক্ষার্থী। আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞদের নিয়ে গড়া ইন্টারডিসিপ্লিনারি গ্রুপ অব ইন্ডিপেনডেন্ট এক্সপার্ট বা জিআইইআই তাদের চূড়ান্ত রিপোর্টে বলছে, এ বিষয়ে তাদের সুপারিশ অনুযায়ী কোনো ব্যবস্থাই নেয়নি সরকার।

দেশটির দক্ষিণ-পশ্চিমের গুয়েরেরো প্রদেশের ইগুয়েলা শহরে একটি ছাত্র বিক্ষোভে অংশ নেওয়ার পর ২০১৪ সালের সেপ্টেম্বর মাসের শেষের দিকে নিখোঁজ হয় এই ৪৩ জন।

বলা হয় শহরের মেয়র হোসে লুইস আবারকার নির্দেশে একদল অসাধু পুলিশ বিক্ষোভকারীদের আটক করে। এরপর তারা একটি মাদক চক্রের হাতে সেইসব ছাত্রদের তুলে দেয় এবং সেই মাদক চক্রই তাদের হত্যা করে। হত্যার পর মৃতদেহগুলো নিকটবর্তী কোকুলা শহরের ময়লা ফেলার স্থানে নিয়ে গিয়ে পুড়িয়ে ফেলা হয় বলে সরকারের তরফ থেকে জানানো হয়।

ছাত্রদের নিখোঁজের পরপর বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে তাদের স্বজনেরা। এ নিয়ে সারাদেশ জুড়েই শুরু হয় বিক্ষোভ। এরপর ২০১৫ সালের মার্চ মাসে নিখোঁজদের স্বজনদের দাবিতে একটি স্বাধীন তদন্ত সংস্থা কাজ শুরু করে। তদন্ত সংস্থা তাদের কয়েকটি রিপোর্টে জানায় যে, সরকার এই ঘটনার প্রতিবাদে বিক্ষোভকারীদের ওপর অত্যাচার করছে এবং সঠিক তদন্তে বাধারও সৃষ্টি করছে।

আন্ত-আমেরিকান মানবাধিকার কমিশন IACHR-এর সদস্য ফ্রান্সিসকো ফক্সের মতে, স্বাধীন তদন্তকারী দল ছাত্রদের মৃতদেহ পুড়িয়ে ফেলার যথার্থ প্রমাণ পায়নি। এমনকি যে সময়টিতে তাদের হত্যা করা হয়েছে বলে সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে- সে সময় পরেও কারো কারো মোবাইল ফোন চালু ছিল বলে প্রমাণ মিলেছে।

নিখোঁজদের স্বজনদের ধারণা, দেশটির সরকার কিছু রাজনৈতিক ব্যক্তি ও সেনাবাহিনীর কিছু উচ্চ পদস্থদের বাঁচানোর চেষ্টা করছে। নিখোঁজ ৪৩ জন ছিলেন শিক্ষানবীশ শিক্ষক এবং তারা স্থানীয় কর্তৃপক্ষের কিছু নীতির বিরোধীতা করে আসছিল, যে নীতিতে গ্রাম থেকে আসা শিক্ষকদের সাথে পক্ষপাতমূলক আচরণ করা হচ্ছিল।খবর:বিবিসি।