English Version
আপডেট : ১৯ এপ্রিল, ২০১৬ ১৬:৪৫

ব্রিটিশ রানীর জন্মদিনের কেক বানাবেন বাংলাদেশী নাদিয়া

নিজস্ব প্রতিবেদক
 ব্রিটিশ রানীর জন্মদিনের কেক বানাবেন বাংলাদেশী নাদিয়া

ব্রিটেনে রানীর দ্বিতীয় এলিজাবেথের ৯০তম জন্মদিন আগামী ২১ এপ্রিল। জন্মদিনের কেক বানাবেন বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত নাদিয়া হোসেন। প্রায় তিন সপ্তাহ গোপন রাখলেও রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথের জন্মদিনের ঠিক কয়েকদিন আগে খবরটি তিনি শেষ পর্যন্ত প্রকাশ করে দিয়েছেন।

নাদিয়া জানান, প্রথমে এক ই-মেইলের মাধ্যমে তার কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিলো যে তিনি রানীর জন্মদিনের কেকটি বানাতে পারবেন কিনা। প্রথমে তিনি মনে করেছিলেন, কেউ তার সঙ্গে মজা করছে। কিন্তু পরে টেলিফোনে তাকে এই খবরটি নিশ্চিত করা হয়। গত বছর ব্রিটিশ টেলিভিশনে রান্নার একটি জনপ্রিয় অনুষ্ঠান গ্রেট ব্রিটিশ বেইক অফের শিরোপা জিতেছিলেন নাদিয়া। খবরটি পাওয়ার পর উত্তেজিত হয়ে পড়েন তিনি। নাদিয়া বলেন, ‘আমার কাছে অপশন ছিল। আমি না ও বলতে পারতাম। কিন্তু রানীকে তো আর আমি না বলতে পারি না। পারি আমি?” তিনি প্রশ্ন করেন, ‘আমি চাইনি এটা নিয়ে খুব বেশি কথা বলতে। রানীর জন্মদিনের কেক বানানোর বিষয়ে একটি বাক্যে আপনি আর কতোটা বলতে পারেন!’

নিজের ছেলেমেয়েদেরকে তিনি যখন খবরটি জানান তখন তারা খুব খুশি হয়। ছেলেরা তাকে খবরটি গোপন রাখতে বলেছিলো। তাকে এই কেক বানানোর দায়িত্ব দেওয়ায় নিজেকে অনেক সম্মানিত মনে করছেন নাদিয়া। ব্রিটেনের বিভিন্ন পত্রিকায় এই খবরটি ফলাও করে প্রচারিত হয়েছে।

একত্রিশ বছর বয়সী নাদিয়া জানান, তিনি এখন এই কেকটি বানানোর প্রস্তুতি নিচ্ছেন। এজন্যে তিনি ইন্টারনেটে গুগল করে দেখেছেন আগের বছরগুলাতে রানী ঠিক কি ধরনের কেক দিয়ে তার জন্মদিন পালন করেছেন। তিনি চান একটু ভিন্ন রকমের কেক বানাতে। এই কাজটা করতে গিয়ে তিনি একটা বড় রকমের চাপ অনুভব করছেন।

নাদিয়া হোসেন বলেন, রানীর এই বিশেষ মাইলস্টোন কেক বানানোর দায়িত্ব পাওয়ার পর তিনি এতোটাই নার্ভাস হয়ে পড়েছিলেন যে তিনি চুলার দিকে তাকাতেও পারছিলেন না। তিনি জানিয়েছেন, সাধারণ কোনো ফ্রুট কেক বানাবেন না তিনি। বরং কমলা দিয়ে একটি কেক বানাবেন তিনি। বানানো শেষ হলে তিনি জন্মদিনের দিন আগামী বৃহস্পতিবার নিজের হাতে তিনি সেটা তুলে দেবেন রানীর হাতে। ব্রিটেনে মহা ধুমধামের সঙ্গে এবছর রানীর জন্মদিন পালিত হচ্ছে। অনুষ্ঠান হবে ১২ মে থেকে ১৫ মে পর্যন্ত।

তিন সন্তানের মা নাদিয়া হোসেন বসবাস করেন ইংল্যান্ডের লুটন শহরে। তিনি জানান, রান্নাটা মূলত তিনি শিখেছেন স্কুলেই আর বাকিটা রান্নার বই, ইউটিউবের ভিডিও থেকে।