English Version
আপডেট : ১৯ মার্চ, ২০১৬ ০০:৪৯
রিজার্ভ চুরি

রিজাল ব্যাংক কর্মকর্তা মায়া সান্তোসসহ ৫ জনের নামে সমন

অনলাইন ডেস্ক
রিজাল ব্যাংক কর্মকর্তা মায়া সান্তোসসহ ৫ জনের নামে সমন

রিজার্ভের অর্থ পাচারের ঘটনায় ফিলিপাইন ভিত্তির রিজাল ব্যাংকের সাবেক শাখা ব্যবস্থাপক মায়া সান্তোস দেগুইতোসহ ৫ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে সমন জারি করেছে দেশটির বিচার বিভাগ।

অভিযুক্ত অন্য চারজন হলেন- মাইকেল ফ্রান্সিসকো ক্রুজ, জেসি ক্রিস্টোফার ল্যাগরোসাস, আলফ্রেড সান্তোস ভার্গারা ও অ্যানরিকো টিওডোরো ভাস্কোয়েজ।

শুক্রবার ফিলিপাইনের বিচার বিভাগ এ সমন জারি করে তাদের আগামী ১২ থেকে ১৯ এপ্রিলের মধ্যে হাজির হওয়ার নির্দেশ দিয়েছে।

উল্লেখ্য, অর্থ চুরির ঘটনায় অভিযোগ প্রমাণিত হলে দিগুইতোর সর্বোচ্চ ১৪ বছরের কারাদণ্ড হতে পারে।

সহকারী সরকারি কৌঁসুলি গিলমারি ফে পাকামারা এই পাঁচজনের বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছেন, আত্মপক্ষ সমর্থনের এই সুযোগ হাতছাড়া করলে তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য প্রতিবেদন জমা দিয়ে দেয়া হবে।

এদিকে ফিলিপাইনের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর ও মুদ্রা পাচারবিরোধী সংস্থার চেয়ারম্যান জানিয়েছেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের অর্থ চুরিতে ফিলিপাইনের আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সংশ্লিষ্টতা মিললে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

ফিলিপাইনের সিনেট কমিটির শুনানিতে দেশটির অ্যান্টি মানি লন্ডারিং কাউন্সিলের চেয়ার‍ম্যান ও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর আমান্দো এম তিতাংকো জুনিয়রের আক্ষেপ করে বলেছেন, ব্যাংকিং আইনের কিছু কালো ধারা, বাধাগ্রস্ত করছে অর্থ পাচারের মামলা পরিচালনায়। আইনী গোপনীয়তার নামে পার পেয়ে যাচ্ছে আসল অপরাধীরা। 

তিতাংকো আরো বলেন, অর্থ পাচারের ঘটনা ঠেকাতে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া উচিত। তার পরামর্শ যখনই এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়, এর সুষ্ঠ তদন্তের জন্য তখন প্রয়োজন সবার সহযোগীতা। 

গভর্নরের কাছে সাংবাদিকদের প্রশ্ন ছিল, বাংলাদেশ ব্যাংকের টাকা চুরির ঘটনায় রিজাল কমার্সিয়াল ব্যাংকিং কর্পোরেশন ও রেমিট্যান্সে এজেন্সি ফিলরাম সার্ভিসের সংশ্লিষ্টতা নিয়েও। জবাবে এমএমএলসি প্রধানের বক্তব্য, তদন্তে দোষ প্রমাণিত হলে নেয়া হবে উপযুক্ত ব্যবস্থা।

অর্থ পাচারের ঘটনায় দেশটির আর্থিক নানা প্রতিষ্ঠানের ওপর চাপ না পড়ার পাশাপাশি মুদ্রা ব্যবস্থা স্বাভাবিক থাকাকে অস্বাভাবিক বলছেন না তিতাংকো। তবে সামনের দিনগুলোয় পরিস্থিতি ঘোলাটে হবে না এমন নিশ্চয়তাও দেননি তিনি। জানান, এখনই সময় অর্থ পাচারের আইনের ধারাগুলোর পরিমার্জন ও পরিবর্তনের, যা সতর্কবার্তা দিবে অপরাধীদের।