English Version
আপডেট : ১৭ মার্চ, ২০১৬ ০৮:২৯

সময়ের অভাব, কৃত্রিম উপায়েই সন্তান লাভ দম্পতিদের

নিজস্ব প্রতিবেদক
সময়ের অভাব, কৃত্রিম উপায়েই সন্তান লাভ দম্পতিদের

সাফল্য ধাওয়া করতে গিয়ে ক্রমেই হাতের সময় কমছে। স্বামী-স্ত্রী একে অপরের সঙ্গে 'কোয়ালিটি টাইম' কাটানোর সুযোগ বিশেষ পাচ্ছেন না। মাসের শেষে স্যালারি অ্যাকাউন্টে মোটা অঙ্কের চেক জমা পড়ছে, কিন্তু সম্পর্কের খাতায় জমা-খরচের হিসেবে বিস্তর ফারাক থেকে যাচ্ছে। দিন শেষে যখন পরিশ্রান্ত অবস্থায় দু'জনে বাড়ি ফিরছেন, তখন আলাদা করে আর ভালোবাসার খেলায় মেতে উঠতে শরীর সায় দেয় না। ফ্যামিলি প্ল্যানিং-ও ক্রমশ পিছোতে থাকে। এহেন অবস্থায়, সুপার-বিজি আধুনিক দম্পতিরা ঝুঁকছেন আর্টিফিশিয়াল রিপ্রোডাক্টিভ থেরাপির দিকে। অর্থাত্‍‌ সময়ের অভাবে প্রাকৃতিক উপায়ে সন্তান ধারণের দিকে না গিয়ে তাঁরা সরাসরি শরণাপন্ন হচ্ছেন ফার্টিলিটি ক্লিনিকগুলির। তবে এক্ষেত্রে আইভিএফ (ইন ভিট্রো ফার্টিলাইজেশন) বা টেস্ট টিউব বেবির থেকে দম্পতিদের কাছে বেশি পছন্দের পদ্ধতি হল আইইউআই (ইনট্রা ইউটেরাইন ইনসেমিনেশন)। এক্ষেত্রে শুক্রাণুকে সরাসরি জরায়ুতে স্থাপন করা হয়। চেন্নাইয়ের একটি ফার্টিলিটি ক্লিনিকের ডিরেক্টর কবিতা গৌতম জানিয়েছেন এখন বহু ফার্টাইল দম্পতিই আইইউআই-এর জন্যে তাঁদের ক্লিনিকে আসেন। তবে একটি সমস্যা প্রায়ই দেখা যায় বলে জানিয়েছেন অন্য একটি ফার্টিলিটি ক্লিনিকের প্রধান ডা কৃতিকা দেবী। যে সব দম্পতিদের মধ্যে কোনও একজন কাজের জন্যে প্রায়ই বাইরে যান, তাঁরা যখন এই পদ্ধতির সাহায্য সন্তান ধারণ করতে আসেন তখন বিশেষ খেয়াল রাখতে হয় সময়ের। যদি স্বামীর অবর্তমানে স্ত্রী সন্তানধারণ করেন তাহলে প্রশ্ন উঠতেই পারে সন্তানের বাবার পরিচয় নিয়ে। সেই জটিলতা এড়াতে তাঁরা বিশেষ সতর্কতা নেন বলেই জানিয়েছেন ডা. কৃতিকা। এই পদ্ধতি আইভিএফ-এর থেকে অনেক কম খরচের। একদিকে যখন একবার আইভিএফ করতে খরচ পড়ে ২ লাখ টাকা, সেখানে আইইউআই করতে খরচ পড়ে মাত্র ৮ হাজার টাকা।

সূত্র : এই সময়