English Version
আপডেট : ১ মার্চ, ২০১৬ ১৯:৫৩

সেই নরখাদক মুক্তি পেলেন ৩৮ বছর পর!

অনলাইন ডেস্ক
সেই নরখাদক মুক্তি পেলেন ৩৮ বছর পর!

 

তিনি নরখাদক। বন্ধুকে হত্যা করে তার মস্তিস্ক খেয়ে ফেলেছিলেন! ভয়াবহ এই ঘটনার নায়ক ডেভিড অ্যালেন চ্যাপিন। নামটার সঙ্গে নিশ্চয়ই পরিচিত লাগছে না কারন ঘটনাটাই যে ৪০ বছর আগের। নরখাদক হওয়ার অপরাধে এই ব্যক্তিটিই ৪০ বছর হাজতবাসের সাজা ভোগ করছে। ইতিমধ্যেই ৩৮ বছরের শ্রীঘর বাস করেও ফেলেছে সে। আপাতত প্যারোলে মুক্তি পেয়েছে। ডেভিডের বয়স এখন ষাটের কোটায়।

বন্ধু ডোনাল্ড লিমিংয়ের সঙ্গে মিলফোর্ডের একটি আবাসনে থাকত চ্যাপিন। তখন তার বয়স ২৩। ব্যাপ্টিস্ট সম্প্রদায়ের ছিল সে। লিমিং ছিল ক্যাথলিক। সেইসঙ্গে বৌদ্ধ ও পাগান ধর্মেও বিশ্বাসী ছিল সে। ১৯৭৮-এর অক্টোবরে কোনও একদিন ধর্মীয় সংঘাতের জেরে লিমিংকে গুলি করে হত্যা করে চ্যাপিন। এরপরে আরও ভয়ঙ্কর কাণ্ড ঘটিয়েছিল সে। শৈশবের বন্ধু ও রুমমেটের মস্তিষ্কই নাকি খেয়ে ফেলেছিল সে। শুধু তাই নয়, খুনের পরে দেহটি একটি ট্রাঙ্কে ঢুকিয়ে সোজা গাড়ি চালিয়ে হাজির হয়েছিল বায়োলজি ক্লাসে। সেখানে প্রফেসরকে চ্যাপিন বলেন, ডিসেকশনের জন্য একটা বডি এনেছে সে!

তাকে সাথে সাথেই পুলিশের হাতে তুলে দেয়া হয়। আদালতে মামলা উঠে।জেরার মুখে আদালতকে চ্যাপিন জানায়, বন্ধুর মস্তিষ্ক খাওয়াটা নাকি “মিউচুয়াল এগ্রিমেন্ট”ছিল! এমনকি হাসিমুখে সে আদালতকে নৃশংস সেই হত্যাকান্ডের কাহিনী শোনায়। যদিও এতে তার সাজা কম হয়নি ! বরং আদালতে অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় ৪০ বছরের কারাবাস হয় চ্যাপিনের।