English Version
আপডেট : ১ মার্চ, ২০১৬ ১৫:৩৯

মেয়ে মৃত জেনে বাবা যা করলেন; পারবেন আপনি?

অনলাইন ডেস্ক
মেয়ে মৃত জেনে বাবা যা করলেন; পারবেন আপনি?

 

২১শে ফেব্রুয়ারি বন্ধুর সাথে মটরবাইকে চেপে বেড়াতে গিয়েছিলেন একমাত্র কন্যা সঞ্জু। পথে একটি ট্রাক চলে যায় তাদের উপর দিয়ে। অচৈতন্য অবস্থায় মেয়েকে নিয়ে হাসপাতালে পোঁছানোর পর বিজিএস হাসপাতালের ডাক্তাররা জানিয়ে দিলেন কোন আশা নেই। সঞ্জু ক্লিনিক্যালি ডেড অর্থাৎ তার মস্তিস্কের মৃত্যু হয়েছে। কি করলেন তখন শোকাহত বাবা? শুনলে চমকে উঠবেন।

মেয়ের দেহ নিয়ে যাবার আগে বাবা দান করে দেন মেয়ের কয়েকটি অঙ্গ। নিজে মরে তাই চারজনের নতু জীবন দিয়ে গেলেন ভারতের মহীশুরের এই তরুণী। হাসপাতালে দান করা হলো তার হার্ট, লিভার, কিডনি ও চোখ। ইরাপ্পা বলেন সাম্প্রতিক হরিশ নানজাপ্পাই এর ঘটনা তাকে এই অঙ্গদানে উদ্বুগ্ধ করেছে। বেঙ্গালুরুর রাস্তায় হরিশ দূর্ঘটনায় পড়েছিলেন। নিশ্চিত মৃত্যু জানার পর তিনি ঐ অবস্থাতেই তার অঙ্গদানের প্রতিশ্রুতি দেন। যা সারা বিশ্বে ঝড় তোলে। সেই একই ঘটনা ঘটল সঞ্জুর ক্ষেত্রেও।

সঞ্জুর বাবার সম্মতি পাবার পর ‘জোনাল কে-অর্ডিনেশন কমিটি অব কর্নাটকের’ সাথে যোগাযোগ করেন ডাক্তাররা। উটির বাসিন্দা ত্রিশ বছর বয়সী শিবনের দেহে সঞ্জুর হার্ট প্রতিস্থাপন করা হয়। মহীশুর থেকে উট প্রায় ৩৭ কিলোমিটার। সঞ্জুর মৃতদেহ নিয়ে যেতে অ্যাম্বুলেন্সের ব্যাবস্থা করা হয়। গ্রিন করিডোর তৈরি করে দ্রুত নিয়ে যেতে চলে আসে পুলিশের জিপ।কিন্তু ডাক্তাররা সিদ্ধান্ত পাল্টান। অস্ত্রেপচার করে সঞ্জুর হার্টটি বের করে বরফের বাক্সে রাখা হয়। সেই বাক্স গাড়িতে তোলার আগমুহূর্তে একজন পথ আগলে দাঁড়ান। সঞ্জুর বাবা। মেয়ের হার্টের সামনে দাঁড়িয়ে শেষবারের মত স্যালুট করেন তিনি। এই হৃদয়বিদারক দৃশ্য দেখে কেঁদে উঠেন ডাক্তার-পুলিশসহ উপস্থিত সকলে। তারপর সঞ্জুর হার্ট চলে যায় অন্য একজনের জীবন বাঁচাতে।