English Version
আপডেট : ২৯ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ ১১:১১

মোদি ও ট্রাম্পের মিল যেখানে

নিজস্ব প্রতিবেদক
মোদি ও ট্রাম্পের মিল যেখানে

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান দল থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশী ডোনাল্ড ট্রাম্প। মার্কিন ধনকুবের ও টিভি ব্যক্তিত্ব ট্রাম্পের আগে কোনো রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা ছিল না। অপরদিকে কয়েক হাজার মাইল দূরের দেশ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। দীর্ঘ রাজনৈতিক অতীত তাঁর। 

এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভিন্ন দেশের ভিন্ন রকম দুই রাজনীতিবিদ হলেও ডোনাল্ড ট্রাম্প ও নরেন্দ্র মোদির মধ্যে বেশ মিল পাওয়া যায়। 

উটকো চুলের ডোনাল্ড ট্রাম্প রাজনৈতিক বক্তৃতায় চেঁচামেচি, অশ্রাব্য কথাবার্তা ও বিতর্ক ছড়ান। বিভিন্ন মন্তব্য করে বেশ আলোচিত ও সমালেচিত হয়েছেন তিনি। তবে এরই মধ্যে কয়েকটি অঙ্গরাজ্যে রিপাবলিকান দলের অপর দুই মনোনয়ন প্রত্যাশী টেড ক্রুজ ও মার্কো রুবিওর চেয়ে এগিয়ে গেছেন তিনি। বিতর্ক সত্ত্বেও মার্কিন জনগোষ্ঠীর কাছে জনপ্রিয়তা পাচ্ছেন ট্রাম্প। এর কারণ কী?

ট্রাম্প তাঁর বক্তৃতায় মেক্সিকানদের ধর্ষক দাবি করে যুক্তরাষ্ট্র ও মেক্সিকো সীমান্তে দেয়াল তৈরি করার কথা বলেন। তবে এর পরও নেভাদায় লাতিন আমেরিকানদের সমর্থন পেয়েছেন ট্রাম্প। একইভাবে নারীদের নিয়ে বিভিন্ন মন্তব্য করেও তিনি অনেক নারীর কাছে জনপ্রিয়। অপরদিকে নারী হওয়া সত্ত্বেও হিলারিকে ভিন্ন চোখে দেখেন অনেক মার্কিনী। তাঁদের মতে, হিলারি ক্ষমতা চায়। তবে ক্ষমতা পেয়ে সে কী করবে তা পরিষ্কার নয়। অপরদিকে ট্রাম্পকে প্রথাগত রাজনীতির পরিবর্তনের প্রতীক বলে মনে করেন অনেকে।

বিশ্লেষকদের মতে, ডোনাল্ড ট্রাম্পকে মানুষ দেখছে রাজনীতির বাইরের মানুষ হিসেবে। কোনো সমস্যার সমাধান চায় মানুষ, যা প্রথাগত রাজনৈতিবিদদের অনেকে দিতে অপরাগ। এ কারণেই রজনীতির বাইরের মানুষ হিসেবে ট্রাম্পকে পছন্দ অনেক মার্কিনির। 

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ক্ষেত্রেও প্রায় এমনটিই ঘটেছিল। ভারতে গত লোকসভা নির্বাচনের শুরু থেকেই ছিলেন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বেশ সক্রিয় ছিলেন নরেন্দ্র মোদি।

অনেক ভারতীয় মোদিকে পরিবর্তনের প্রতীক হিসেবে দেখেছেন। একই রকম ঘটনা ঘটেছে ভারতের দিল্লিতে। আম আদমি পার্টির অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে রাজনীতির বাইরের মানুষ হিসেবে দেখেছে দিল্লির মানুষ। এ কারণেই দিল্লিবাসী ভোট দিয়ে তাঁকে মুখ্যমন্ত্রী করেছে।