English Version
আপডেট : ২৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ ১৬:১৭

প্রেমিকের সাথে আইএস-এ যোগদান! অত:পর স্বপ্নভঙ্গ...

অনলাইন ডেস্ক
প্রেমিকের সাথে আইএস-এ যোগদান! অত:পর স্বপ্নভঙ্গ...

 

প্রেমিকের সাথে ঘর ছেড়েছিলেন এই সুইডিশ কিশোরী। মাথায় চেপেছিল অ্যাডভেঞ্জারের ভুত। কিন্তু সিদ্ধান্ত ছিল ভুল। এই কিশোরী ‘ইসলাম’ কাকে বলে জানেই না। ‘আইএসআইএস’-এর নামই শোনেনি কোনদিন। এমন এক মেয়েকেই শেষ পর্যন্ত উদ্ধার করা হল ইসলামিক স্টেট-এর কবল থেকে। তার কথামতো, তিনি নাকি ইরাকের চরমপন্থীদের সঙ্গে যোগ দিতে চেয়েছিলেন।

সুইডেনের মেরিলিন নাভালাইনেন এখনও কৈশোরের গণ্ডি ছাড়াননি। বয়ফ্রেন্ডের সঙ্গে বাড়ি থেকে পালিয়েছেন ইরাকের ‘সংগ্রামী’ মানুষের সঙ্গে যোগ দেবেন বলে। ২০১৪-য় তাঁর বয়ফ্রেন্ড তাঁকে প্রস্তাব দেন বাড়ি থেকে পালানোর। তার আগে তারা দু’জনে বিস্তর ‘আইসিস’-ভিডিও দেখেছেন। সেই সব দেখে অনুপ্রাণীত হয়ে বয়ফ্রেন্ড তাকে আইসিস-এ যোগ দেওয়ার প্রস্তাব দেন। আর মেরিলিনও ‘নো প্রবলেম’ বলে ঘর ছাড়েন।

২০১৫-এ তাঁরা ট্রেনে চড়ে তুরস্কে প্রবেশ করেন। সেখান থেকে বাসে চড়ে সিরিয়া। তার পরে তারা ইসলামিক স্টেট-এর বাস ধরেন এবং জঙ্গি-নিয়ন্ত্রিত শহর মসুল-এ পৌঁছান। সেখানে মেরিলিন যা দেখেন, তার সঙ্গে জঙ্গিদের হাতে বন্দি মেয়েদের বর্ণনা হুবহু মিলে যায়। খাদ্য-পানীয়হীন, বিদ্যুৎহীন অবস্থাতেও তাদের কাটাতে হয়েছে সেই শহরে। সইতে হয়েছে ভয়াবহ যৌন নির্যাতন ও ধর্ষণ। এমনকি প্রাকৃতিক কর্মও সারতে হতো বিকৃতমনা জঙ্গীদের সামনেই!

এমতাবস্থায় তার হাতে আসে একটি মোবাইল ফোন। সেটি হাতে পেয়েই মেরিলিন তাঁর মায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। সুইডিশ সরকারের তরফে যোগাযোগ করা হয় কুর্দি সরকারের সঙ্গে। কুর্দি বাহিনীই তাকে উদ্ধার করে আনে। এই অ্যাডভেঞ্চারের কাহিনি তিনি সম্প্রতি খোলাখুলি বলেন একটি কুর্দি টিভি চ্যানেলে।