English Version
আপডেট : ২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ ১৬:৩৯

বাংলাদেশের নারী পুলিশ নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছে

নিজস্ব প্রতিবেদক
বাংলাদেশের নারী পুলিশ নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছে
জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি মুন বলেছেন, বাংলাদেশের নারী পুলিশ নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছেন। যা অন্যদের জন্য দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। এর মধ্য দিয়ে শান্তিরক্ষায় লিঙ্গ সমতা আনতেও বাংলাদেশ পথপ্রদর্শক হিসেবে কাজ করছে। পুলিশ সদর দফতরের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
 
১৭ ফেব্রুয়ারি জাতিসংঘ সদর দফতরে বাংলাদেশ নারী পুলিশের সাফল্য নিয়ে নির্মিত ‘এ জার্নি অব এ থাউজেন্ড মাইলস : পিসকিপার’ নামের একটি তথ্যচিত্র প্রদর্শনীতে মহাসচিব এ কথা বলেন।
 
জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি মুন তার বক্তৃতায় নানা প্রতিকূলতার মধ্যেও শান্তিরক্ষার চ্যালেঞ্জিং দায়িত্ব পালনের জন্য বাংলাদেশের মেয়েদের অভিনন্দন জানিয়েছেন।
 
বাংলাদেশ পুলিশের আইজি এ কে এম শহীদুল হক এ প্রসঙ্গে বলেছেন, পেশাদারিত্ব, সক্ষমতা শুধু দেশেই নয়- আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও প্রমাণিত সত্য। বিশ্বের ১৭টি দেশে পুরুষ সদস্যরা যে কৃতিত্ব দেখিয়েছে তার সঙ্গে যুক্ত হল আমাদের নারী সদস্যদের কৃতিত্ব। জাতিসংঘ মহাসচিব যে কৃতিত্বের প্রশংসা করেছেন সেটা এদেশের সব পুরুষ ও নারী পুলিশের পেশাদারিত্মকে আরও উজ্জীবিত করবে। সব সংশয় কাটিয়ে এদেশের তরুণ প্রজন্মের নারীরা পৃথিবীর যে কোনো প্রান্তে যে কোনো প্রতিকূলতা জয় করতে সাহসী হবে। এটা নারীর এগিয়ে যাওয়া, ক্ষমতায়নের এক অনন্য দৃষ্টান্ত।
 
হাইতির যুদ্ধবিধ্বস্ত এলাকায় নানা প্রতিকূল পরিবেশে মানুষের জন্য শান্তি প্রতিষ্ঠায় কাজ করছে বাংলাদেশ পুলিশের একটি দল। ৫ নারী পুলিশ সাহসী ভূমিকা নিয়ে দাঁড়িয়েছেন বিক্ষুব্ধ জনতার সামনে। শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নিশ্চিত করেছেন তারা।
 
তাদের সাহসী ভূমিকা, সন্তান-স্বামীকে দেশে রেখে গিয়ে এক বছর হাইতিতে কাটানো পেশাদারিত্বের অভিজ্ঞতা দেখানো হয়েছে ওই ডকুমেন্টারিতে। সেখানে কলেরা আক্রান্ত এলাকায় মানবতার সেবায় বাংলাদেশ পুলিশের ভূমিকা নিয়ে উচ্ছ্বসিত মানুষ। সেটাও প্রশংসিত হয়েছে তথ্যচিত্রে।
 
চিত্রটি পর্যালোচনায় দেখা যায়, কাঁচা হাতে ছোট্ট শিশুর লেখা চিঠিতে চোখ রেখে অশ্রু ঝরিয়েছেন মা পুলিশ সদস্য। আবার মুহূর্তেই হয়েছেন পেশাদার। খেলাধুলা, নামাজসহ ধর্মাচার এবং ইউনিফর্ম পরে নিষ্ঠার সঙ্গে পেশাগত দায়িত্ব পালন করছেন। সব মিলিয়ে এক অনন্য প্রতিচ্ছবি তুলে ধরা হয়েছে বাংলাদেশের মহিলা পুলিশ ইউনিটের। সব সংশয় উড়িয়ে দিয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তারাও যে পুরুষ পুলিশদের মতো সমান গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করতে পারেন- সেটা তারা প্রমাণ করেছেন।
 
হাইতির জনগণ, জাতিসংঘে কর্মরত সদস্য এবং নিজেদের রক্ষার চ্যালেঞ্জে তারা জয়ী হয়েছেন। বাংলা, ইংরেজি এবং ক্রিয়োল ভাষায় নির্মিত ৯৫ মিনিটের ওই তথ্যচিত্রটি নির্মাণ করেছেন ফিল্ম একাডেমি পুরস্কারপ্রাপ্ত ভারতের গীতা গান্দভির এবং পাকিস্তানের শারমিন ওবায়েদ চিনয়।