English Version
আপডেট : ১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ ১০:৫২

গরুর মাংস খেলে কাউকে খুন করা অপরাধ : জানালেন তসলিমা নাসরিন

নিজস্ব প্রতিবেদক
গরুর মাংস খেলে কাউকে খুন করা অপরাধ : জানালেন তসলিমা নাসরিন

গরুর মাংস খাওয়ার জন্য কাউকে খুন করা ‘অসহিষ্ণুতা নয়, অপরাধ।’ কেরলে কোঝিকোড় সাহিত্য উৎসবে গিয়ে এক সাক্ষাৎকারে জানালেন তসলিমা নাসরিন। তবে ভারতকে অসহিষ্ণু দেশ বলতে নারাজ লেখিকা। তাঁর মতে, ভারতের আইন এবং সংবিধান কখনই অসহিষ্ণুতাকে সমর্থন করে না। সব দেশের মতো এখানেও কয়েকজন অসহিষ্ণু মানুষ রয়েছেন। কিন্তু কড়া আইনের জন্য তাঁরা অসিহষ্ণুতায় ইন্ধন জোগাতে পারেন না। প্রতিবেশী দেশের এ বিষয়ে ভারতের কাছ থেকে শিক্ষা নেওয়া উচিত। মোদি সরকারকেও ‘ধর্মনিরপেক্ষ’ বলে ঢালাও প্রশংসা করলেন তিনি। বললেন, আদনান সামির মতো ব্যক্তি ভারতের নাগরিক হতে পারলে খুশি হবেন। অভিনেতা অনুপম খেরকে ভিসা দিতে অস্বীকার করার জন্য পাক সরকারকেও এক হাত নিলেন তিনি। তবে পরে যখন পাক সরকার অনুপমকে ভিসা দিতে চেয়েছিল, তখন তাঁর যাওয়া উচিত ছিল বলে করেন তসলিমা। এ প্রসঙ্গে লালকৃষ্ণ আদবানির পাকিস্তান সফরের কথাও তুলে ধরলেন। জানালেন, ওই সফর আদবানিকে ধর্মনিরপেক্ষ এবং উদার হতে সাহায্য করেছিল। কট্টরপন্থীদের হুমকিতে বাংলাদেশ ছাড়তে বাধ্য হন তসলিমা। এরপর সুইডেনের নাগরিকত্ব পান। কিন্তু ইউরোপ বা আমেরিকা নয়, ভারতের নাগরিক হতে চান তিনি, এ কথা ফের বুঝিয়ে দিলেন তসলিমা। ২০০৪ সাল থেকে তাঁকে ভিসা দিচ্ছে ভারত। গত বছর আগস্টে ফের তাঁর ভিসার মেয়াদ বাড়ায় মোদি সরকার। তবে ২০০৭ সালে সাম্প্রদায়িক অশান্তির পর থেকে পশ্চিমবঙ্গে থাকার অনুমতি পাননি তসলিমা। এর জন্য তৎকালীন বাম সরকারকেই দায়ী করলেন তসলিমা। বললেন, মুসলিম তোষণের জন্যই তাঁকে পশ্চিমবঙ্গ ছাড়তে বলেছিল বাম সরকার। একই কারণে তখন ভারত ছাড়ার অনুরোধ জানিয়েছিল কেন্দ্রের ইউ পি এ সরকারও। ইউরোপে তাঁকে সবরকম সাহায্য করার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছিল তারা। তবে লেখিকার মতে, তাঁর লেখা নিয়ে কোনও রাজনৈতিক দলের আপত্তি থাকা উচিত নয়। কারণ নারীদের অধিকার, মানবাধিকার, ধর্মনিরপেক্ষতাই তাঁর লেখায় বারবার উঠে আসে।

সূত্র: আজকাল