English Version
আপডেট : ৩ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ ২১:৫০

জিকাভ্যাক তৈরি করছে ভারত

নিজস্ব প্রতিবেদক
জিকাভ্যাক তৈরি করছে ভারত

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) জরুরি অবস্থা ঘোষণার দুই দিনের মাথায় ভারতের একটি কোম্পানি বিশ্বে প্রথম জিকা ভাইরাসের টিকা তৈরির কাজ করার কথা ঘোষণা করেছে। আমেরিকা মহাদেশে জিকা ভাইরাস দ্রুত ছড়িয়ে পড়ার পরিপ্রেক্ষিতে সোমবার ডব্লিউএইচও বিশ্বজুড়ে গণস্বাস্থ্যের জন্য জরুরি অবস্থা ঘোষণা করে।

এরই মধ্যে বুধবার হায়দ্রাবাদের ভারত-বায়োটেক কোম্পানি জিকার টিকা (জিকাভ্যাক) তৈরি করছে বলে দাবি করল।

এডিস মশাবাহী জিকা ভাইরাসের সঙ্গে ‘মাইক্রোসেফালি’তে আক্রান্ত শিশু জন্মগ্রহণের সম্পর্ক থাকতে পারে বলে ধারণা করছেন চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা। মাইক্রোসেফালিতে আক্রান্ত শিশুর মস্তিষ্কের গঠন সম্পূর্ণরূপে হয় না। ফলে শিশু বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী, শারীরিক প্রতিবন্ধী হতে পারে এমনকি মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। হায়দ্রাবাদের ‘দ্য ভ্যাকসিনস এন্ড বায়ো-থেরাপিউটিক ম্যানুফ্যাকচারার’ টিকা তৈরির কাজে অনেক দূর অগ্রসর হওয়ার কথা জানিয়েছে।

কোম্পানিটির দাবি, তারা দেড় বছর ধরে জিকা সংক্রমণ প্রতিরোধে ‘জিকাভ্যাক’ নিয়ে কাজ করছে। এ প্রকল্প নিয়ে ভারত সরকার ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকেও যাবতীয় তথ্যও দিয়েছে তারা।

ভারত-বায়োটেকের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক কৃষ্ণা ইল্লা সাংবাদিকদের বলেন, এক বা দুই সপ্তাহের মধ্যে জিকাভ্যাক টিকার ‘প্রি-ক্লিনিকাল ট্রায়াল’ শুরু করা হবে।

জিকা ভাইরাসের টিকা উন্নয়নে ব্রাজিলের মত লাতিন আমেরিকার দেশগুলোর সঙ্গে একত্রে কাজ করতে কোম্পানি প্রস্তুত বলে জানান ওই কর্মকর্তা। লাতিন আমেরিকার কয়েকটি কোম্পানি এরই মধ্যে যৌথভাবে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করেছে বলেও জানান তিনি।

জিকা ভাইরাসের টিকা ভারতের বাজারে আসতে কত সময় লাগবে এমন প্রশ্নের জবাবে কৃষ্ণা ইল্লা বলেন, “দেশের পরিচালনা ব্যবস্থার ওপর তা নির্ভর করছে।” “ভারত সরকার জিকা সংক্রমণ নিয়ে দেশজুড়ে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করলে এবং অগ্রাধিকার ভিত্তিতে এর চিকিৎসা নিয়ে কাজ করার সিদ্ধান্ত নিলে দুই বছরেরও কম সময়ের মধ্যে টিকা তৈরি সম্ভব।”

ভারত-বায়োটেকের গবেষণা ও উন্নয়ন বিভাগের পরিচালক সুমাথি বলেন, তারা চিকনগুনিয়ার টিকা নিয়ে কাজ করার সময় জিকার টিকা নিয়ে কাজ শুরু করেন। কিন্তু কাজ অত্যন্ত ধীর গতিতে এগুচ্ছে।

সূত্র- প্রথম আলো