English Version
আপডেট : ২৩ জানুয়ারি, ২০১৬ ১০:৫৯

কানাডার স্কুলে বন্দুকধারীর হামলায় নিহত ৪

অনলাইন ডেস্ক
কানাডার স্কুলে বন্দুকধারীর হামলায় নিহত ৪

 

কানাডার একটি লা লচে শহরের একটি কমিউনিটি স্কুলে বন্দুকধারীর গুলিতে অন্তত চারজন নিহত হয়েছেন। শুক্রবার স্থানীয় সময় দুপুর ১টার দিকে সাস্কেটন শহরের ৬০০ কিলোমিটার উত্তরে অবস্থিত লা লচে শহরের একটি কমিউনিটি স্কুলে এ ঘটনা ঘটে বলে বিবিসি জানিয়েছে। হতাহতদের পরিচয় জানা যায়নি। আহতদের চিকিৎসা সেবা দিতে কিওয়াতিন ইয়াত্তে ১৬ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে অতিরিক্ত ডাক্তার ও নার্স পাঠানো হয়েছে। তবে কতজন আহত হয়েছে তা জানাতে তিনি অস্বীকৃতি জানিয়েছেন।

কানাডার পুলিশের বরাত দিয়ে রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হামলাকারী পুরুষ। হামলার পরপরই পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে তাকে আটক করে। পারিবারিক জীবনের হতাশা থেকে ওই ব্যক্তি এই হামলা চালান বলে ধারণা করা হচ্ছে। তাকে স্কুল ভবনের বাইরে থেকে একটি বন্দুকসহ আটক করা হয়। ওই স্কুলে মোট ৯শ’ শিক্ষার্থী আছে বলে রয়টার্সের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।

ঘটনার পরপরই শোক জানিয়েছেন কানাডার নবনির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। সুইজারল্যান্ডের দাভোসে চলমান ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের বার্ষিক সম্মেলনে থাকা ট্রুডো এক বিবৃতিতে এ ঘটনাকে ‘প্রত্যেক অভিভাবকের জন্য একটি ভয়াবহ দুঃস্বপ্ন’ হিসেবে অভিহিত করেন। ঘটনার পরপরই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী দ্রুত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে বলেও দাবি করেন তিনি।

শক্তিশালী ‘বন্দুক নিয়ন্ত্রণ আইন’ এর জন্য কানাডাতে যুক্তরাষ্ট্রের মতো বন্দুক হামলার ঘটনা দেখা যায় না। সর্বশেষ ১৯৯২ সালে কনকর্ডিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে এক বন্দুকধারীর হামলায় চারজন নিহত হয়েছিল। এর আগে ১৯৮৯ সালে মন্ট্রিলের ইকোল পলিটেকনিক স্কুলে একইরকম হামলায় ১৪জন নিহত হওয়ার ঘটনা ঘটে।     

লা লচে শহরের ভারপ্রাপ্ত মেয়র কেভিন জেনভিয়ার কানাডিয়ান প্রেসকে জানিয়েছেন, অভিযুক্তের ঘরে শুরু হওয়া কোনো বিবাদের প্রতিক্রিয়ায় এ বন্দুক হামলা হয়ে থাকতে পারে বলে তিনি ধারণা

লা লচে কমিউনিটি স্কুলের শিক্ষার্থী নোয়েল দেজার্লেইস কানাডিয়ান ব্রডকাস্টিং কর্পোরেশনকে বলেন, আমি দৌড়ে বের হয়ে আসি। এর আগেই আমি ৬-৭টা গুলির শব্দ শুনি। অনেকেই তখন চিৎকার করছিল। আমার বিশ্বাস, এরপরও আরও কয়েকদফা গুলি হয়েছে।

সিবিসি’তে প্রচারিত এক টেলিভিশন ফুটেজে দেখা গেছে, হামলার পর স্কুলের শিক্ষার্থীরা স্কুলের বরফে আচ্ছাদিত মাঠের দিক দৌড় দিচ্ছে। একই সময়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরাও স্কুলে প্রবেশ করছে। শহরের একজন বাসিন্দা মোবাইল ক্যামেরায় ওই ভিডিও ধারণ করে।