English Version
আপডেট : ১৬ জানুয়ারি, ২০১৬ ১৩:০৪

ফ্রান্সে ওষুধ পরীক্ষায় ‘ক্লিনিক্যালি ডেড’

নিজস্ব প্রতিবেদক
ফ্রান্সে ওষুধ পরীক্ষায় ‘ক্লিনিক্যালি ডেড’

ফ্রান্সে ওষুধ পরীক্ষার ঘটনায় একজন ‘ক্লিনিক্যালি ডেড’ হয়েছেন। অন্তত আরও ছয়জন গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। এরপরই রেনেসের ওই বেসরকারি হাসপাতালটি পরিদর্শনে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন ফরাসী স্বাস্থ্যমন্ত্রী মারিসল তুরেইন।

সূত্র- বিবিসি ও আলজাজিরার।

হাসপাতালটির প্রধান নিউরোসায়েন্টিস্ট গিলেস এদান জানান, গুরুতর অসুস্থ হওয়া ছয় রোগীর মধ্যে তিনজনের মস্তিস্ক স্থায়ীভাবে নষ্ট হয়ে গেছে। ওষুধটিতে পরিচিত কোনো রোগ প্রতিষেধক ছিল না বলে এই রকমটি হয়েছে। বিভিন্ন প্রতিবেদনে ওষুধটিতে মাদকভিত্তিক ব্যাথানিরোধক উপাদান রয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। তবে এ তথ্য প্রত্যাখ্যান করেছে দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।

নতুন ওষুধটির পরীক্ষামূলক কার্যক্রমে মোট ৯০ রোগীকে নির্বাচিত করা হয়। এদের মধ্যে আটজনের দেহে ইতোমধ্যে পরীক্ষা চালানো হয়েছে বলে জানিয়েছে ফরাসী টেলিভিশন বিএফএমটিভি। ফ্রান্সভিত্তিক কোম্পানি বায়োট্রায়াল এ পরীক্ষমূলক কার্যক্রম চালাচ্ছে। ১৯৮৯ সালে প্রতিষ্ঠার পর হাজার হাজার রোগীর ওপর বিভিন্ন ওষুধের পরীক্ষা চালিয়ে আসছে প্রতিষ্ঠানটি।

ইতিমধ্যে ওষুধটির পরীক্ষা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে এবং গবেষণাগারের পক্ষ থেকে স্বেচ্ছাসেবকদের ডেকে পাঠানো হয়েছে  জানিয়েছে বিবিসি।

ফ্রান্সের গণমাধ্যমগুলো জানায়, ওষুধটি গাঁজা-ভিত্তিক বেদনানাশক ওষুধ। তবে স্বাস্থ্যমন্ত্রণালয় একথা অস্বীকার করেছে। পরীক্ষায় অংশ নেওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে এ সপ্তাহের শুরুতে প্রথম একজন অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে বলে জানিয়েছে ফরাসি গণমাধ্যম।

এদিকে, নতুন ওই ওষুধ পরীক্ষামূলকভাবে ব্যবহার করতে গিয়ে একজন কোমায় চলে গেছেন। এবং পাঁচজন গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েছেন দুঘটনার পর এমনটিই বলে জানিয়েছে দেশটির স্বাস্থ্য মণ্ত্রণালয়। ওই সময়ে মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়, পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারীরা ইউরোপের এক গবেষণাগারে তৈরি করা খাওয়ার একটি ওষুধ সেবন করে অসুস্থ হয়ে পড়ে।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী মাহিসোর তুহেন বলেন, রেন শহরে ব্যক্তিমালিকাধীন একটি গবেষণাগারে ওষুধটি পরীক্ষা করার সময় এ মারাত্মক দুর্ঘটনা ঘটেছে। দুর্ঘটনার কারণ কি তা খতিয়ে দেখা হবে বলে জানান তিনি। পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে শুক্রবার স্বাস্থ্যমন্ত্রীর রেনে যাওয়ার কথা রয়েছে।