English Version
আপডেট : ১৫ জানুয়ারি, ২০১৬ ১১:১০

আইএসকে ‘সহায়তার’ অভিযোগে টুইটারের বিরুদ্ধে মামলা

অনলাইন ডেস্ক
আইএসকে ‘সহায়তার’ অভিযোগে টুইটারের বিরুদ্ধে মামলা

পশ্চাৎপদ চিন্তার জঙ্গিগোষ্ঠী আইএস প্রযুক্তি ব্যাবহারে মোটেই পশ্চাৎপদ নয়। তারা ফেসবুক, টুইটারের মত জনপ্রিয় সোশ্যাল সাইটগুলি ব্যাবহার করে তাদের সাংগঠনিক বার্তা ছড়িয়ে দেয়। এমনকি এসব সোশ্যাল সাইট ব্যাবহার করে নানা দেশের নাগরিকদের দলে টেনে নেয়। সেই সাথে “যৌন জিহাদে” উদ্বুগ্ধ করে নারীদের। নানা কথায় ভুলিয়ে নিয়ে গিয়ে ভয়াবহ যৌন নির্যাতন, দাসী হিসবে বিক্রয় এমনকি খুন পর্যন্ত করা হয় সেসব নারীদের। এখন পর্যন্ত কয়েক লাখ মানুষ আইএসএর নৃশংসতার শিকার। বিভিন্ন সাইটে তারা নির্মম এবং পাশবিক হত্যাকান্ডের ভিডিও ফুটেজ প্রকাশ করে। তাই এবার অভিযোগের আঙ্গুল উঠল সোশ্যাল সাইট টুইটারের বিরুদ্ধে।  এই জঙ্গি গোষ্ঠীর হামলায় নিহত এক ব্যক্তির স্ত্রী বার্তা ছড়িয়ে দেওয়ার সুযোগ করে দিয়ে আইএসকে শক্তিশালী করার জন্য দায়ী করে সোশ্যাল মিডিয়া টুইটারের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন । যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডার বাসিন্দা টামারা ফিল্ডস বুধবার ক্যালিফোর্নিয়ার অকল্যান্ডের ফেডারেল কোর্টে এই মামলা করেন। টুইটার কর্তৃপক্ষের কাছে ক্ষতিপূরণ দাবি করেছেন তিনি।

টামারার স্বামী লয়েড কার্ল ফিল্ডস গত ৯ নভেম্বর জর্ডানে একটি পুলিশ প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে সন্ত্রাসী হামলায় নিহত হন। ওই হামলার দায় স্বীকার করেছে আইএস। টামারার অভিযোগ, টুইটার ‘জেনে অথবা ইচ্ছাকৃতভাবে চুপ থেকে’ সন্ত্রাসীদের এই প্ল্যাটফর্ম ব্যবহারের সুযোগ দিয়েছে, যাতে তারা নিজেদের বক্তব্য প্রচার, অর্থ সংগ্রহ ও সদস্য সংগ্রহের কাজ করতে পেরেছে। সান ফ্রান্সিসকোভিত্তিক টুইটার কর্তৃপক্ষ কিছুদিন আগ পর্যন্ত আইএসকে অফিসিয়াল টুইটার অ্যাকাউন্ট চালিয়ে যেতে দিয়েছে বলে অভিযাগ করেন তিনি। টামারা অভিযোগ করেন, টুইটার ছাড়া গত কয়েক বছরে আইএসের এত শক্তি সঞ্চয় করে বিশ্বের সবচেয়ে ভীতিকর সন্ত্রাসী গোষ্ঠীতে রূপ নেওয়া সম্ভব হত না।

যদিও টুইটার কর্তৃপক্ষ টামারার  অভিযোগকে ভিত্তিহীন দাবি করেছে ।টুইটার কর্তৃপক্ষ বলেছে, এই মামলার কোনো ভিত্তি নেই বলে আমরা বিশ্বাস করি। তবে ওই পরিবারের অপূরণীয় ক্ষতির কথা জেনে আমরা গভীরভাবে ব্যথিত। অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের মতো টুইটারেও সহিংসতার হুমকি ও সন্ত্রাসবাদকে প্রশ্রয় দেওয়া হয় না বলে স্পষ্ট বলে দিয়েছে টুইটার।