English Version
আপডেট : ১১ জানুয়ারি, ২০১৬ ১৭:১১

নববর্ষে যৌন নির্যাতন: অভিবাসীদের দায়ী করছে জার্মান জনতা

অনলাইন ডেস্ক
নববর্ষে যৌন নির্যাতন: অভিবাসীদের দায়ী করছে জার্মান জনতা

জার্মানিতে নববর্ষে যৌন নির্যাতনের ঘটনায় জনতা অভিবাসিদের দোষী সাব্যস্ত করছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে একদল পাকিস্তানী এবং সিরিয়ান পুরুষের উপর হামলা করেছে জার্মান জনতা। জার্মান পুলিশ বলেছে কমপক্ষে বিশজন অজ্ঞাত ব্যাক্তি ছয় পাকিস্তানীর উপর হামলা চালায়। এদের মধ্যে দু্‌ইজন হাসপাতালে ভর্তি। এরপর পাঁচ-ছয়জনের একটি দল হামলা করে এক মাঝবয়সী সিরিয়ান নাগরিকের উপর। জার্মান সংবাদপত্রের তথ্য অনুযায়ী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এই হামলার পরিকল্পনা করে জার্মান তরুনরা।

আশংকাজনক বিষয় হলো ইতোমধ্যে পাঁচশত ষোল জন নারী নববর্ষে যৌন নিপীড়নের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ দায়ের করেছেন। এর মধ্যে চল্লিশ শতাংশের বেশী নারী শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগ করেছেন। আরও গুরুতর ব্যাপার হলো এদের মধ্যে দুজনকে ধর্ষণ করা হয়েছে এমন অভিযোগ পাওয়া যায়! একটি ফাঁসকৃত প্রশাসনিক রিপোর্ট থেকে জানা গেছে এই হঠাৎ   আক্রমণে পুলিশও হতবিহ্বল হয়ে পড়ে। জার্মানির মানুষ এমন ঘটনায় খুব একটা পড়েনি। এই যৌন নির্যাতনের ঘটনা মধ্যপ্রাচ্যের শরণার্থীদের আশ্রয় দেয়ার সরকারী সিদ্ধান্তকে প্রশ্নের মুখে ফেলেছে। অধিকাংশ জার্মান জনতার এই অভিযোগ প্রশাসন উড়িয়ে দিতে পারছে না। মধ্যপ্রাচ্যের রক্ষণশীল সামাজিক ও ধর্মীয় আবহে বেড়ে ওঠা শরণার্থীরা জার্মানির মুক্ত সাংস্কৃতিক আবহকে ভাল চোখে দেখবে না এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু তাই বলে তারা আশ্রয়প্রার্থী হয়ে আশ্রয়দাতাদের উপর হামলা চালাবে এটা জার্মানরা কিছুতেই মেনে নিতে পারছে না।

এর মধ্যে গত শনিবার শরণার্থীদের আশ্রয় দেয়ার বিরুদ্ধে যারা প্রতিবাদ করে আসছিল তাদের উপর পুলিশ পেপার স্প্রে নিক্ষেপ করে। বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়। সাংবাদিক, পুলিশ সহ আহত হয় অনেকে। এর ফলে অসন্তোষ আরও ভয়াবহ আকার ধারণ করে । যার ফলশ্রুতিতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যাবহার করে তারা অভিবাসীদের উপর হামলার পরিকল্পনা নেয় বলে জার্মান সংবাদমাধ্যমগুলি ধারণা করছে। এমন পরিস্থিতিতে ক্ষোভে ফুঁসছে গোটা জার্মানি। অপরাধী সনাক্ত করতে মাথার ঘাম পায়ে ফেলছে প্রশাসন। অপেক্ষাকৃত স্থিতধী জার্মানরা বলছে ঘটনার সাথে যারাই জড়িত থাকুক না কেন তাদের গ্রেফতার করে শাস্তির মুখোমুখি করতে হবে। এটা না হলে সমস্যা আরও বেড়ে চলবে।