English Version
আপডেট : ৭ জানুয়ারি, ২০১৬ ১৩:০৬

মৃত শিশুর অঙ্গে প্রাণ বাঁচল ছয়জনের

অনলাইন ডেস্ক
মৃত শিশুর অঙ্গে প্রাণ বাঁচল ছয়জনের

অনেক পরিণত বয়সের মানুষ যা করতে ভয় পায় সেটাই করে দেখাল ৫ বছরের একটি শিশু! না, জীবিত অবস্থায় নয়, মৃত্যুর পর। নিজের মৃতদেহ দান করে জীবন ফিরিয়ে দিল ৬ জনের। চিকিৎসকেরা জানান, মেয়েটির কিডনি, হার্টের ভালভ্‌, লিভার এবং চোখ অন্য মানুষের দেহে প্রতিস্থাপন করা গিয়েছে। যে হাসপাতালে শিশুটি চিকিৎসাধীন ছিল সেখানকারই এক রোগীর দেহে তার এক কিডনি প্রতিস্থাপন করা হয়েছে। বিশেষ বিমানে অপর কিডনি এবং লিভার পাঠানো হয়েছে চেন্নাইয়ের এক হাসপাতালে। তেমনই

শিশুটির নাম জনস্রুথি। এত কম বয়সেই মর্মান্তিক সড়ক দূর্ঘটনায় তাকে বিদায় নিতে হয় পৃথিবী থেকে। ২ জানুয়ারির সকাল। মায়ের হাত ধরে স্কুলে যাচ্ছিল ৫ বছরের ছোট্ট মেয়ে জনস্রুথি। মাঝ রাস্তায় গাড়ির ধাক্কায় ছিটকে পড়ে সে। প্রাথমিক চিকিৎসার পর একটি বেসরকারি হাসপাতাল থেকে তাকে বাড়ি ফিরিয়ে দেওয়া হলেও একদিন পর থেকেই বোঝা যায় সঙ্কট তখনও কাটেনি। জনস্রুথির শারীরিক অবস্থার ক্রমশ অবনতি ঘটতে থাকে। তাকে আবারও কোয়ম্বত্তুরের একটি বিখ্যাত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু চিকিৎসায় সাড়া কোন সাড়া দেয়নি শিশুটি। বুধবার ডাক্তাররা শিশুটির ‘ব্রেন ডেথ’ হয়েছে বলে ঘোষণা করেন। একমাত্র সন্তানের মৃত্যুতে স্বাভাবিকভাবেই খুব ভেঙে পড়েন জনস্রুথির বাবা-মা।

পরে তাঁর মেয়ের দেহ দান করার সিদ্ধান্ত নেন। এইটুকু একটা মেয়ের দেহ দানের এই সিদ্ধান্তে চিকিৎসকেরাও প্রথমে হতচকিয়ে যান। সচরাচর এরকম নজির নেই বললেই চলে। ডাক্তাররা জানিয়েছেন, জনস্রুথি দান করা অঙ্গে ৬ জন মুমূর্ষ রোগীর জীবন বাঁচানো গেছে। এতে খুশি শিশুটির বাবা-মাও। এবং অবশ্যই গর্বিত। কোয়ম্বত্তুরের এক সরকারি হস্টেলের রাঁধুনি তার বাবা বলেন, এভাবেই অন্যদের মধ্যে আমাদের মেয়ে বেঁচে থাকবে।

আনন্দবাজার