English Version
আপডেট : ৩০ ডিসেম্বর, ২০১৫ ০২:১৮

যেভাবে নারী ধর্ষণকে হালাল করেছে আইএস

অনলাইন ডেস্ক
যেভাবে নারী ধর্ষণকে হালাল করেছে আইএস

ইসলামিক স্টেট অব সিরিয়া অ্যান্ড ইরাক(আইএসআইএস) জঙ্গি বাহিনী কীভাবে ধর্মীয় সংখ্যালঘু নারীদের যৌনদাসী হিসেবে ব্যবহারকে হালাল করেছে সেই সংক্রান্ত ফতোয়া প্রকাশিত হয়েছে।

সিরিয়াতে অবস্থিত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ বাহিনী অভিযান চালিয়ে আইএসের বিপুল পরিমাণ নথি ও দলিলপত্র উদ্ধার করেছে। সম্প্রতি রয়টার্স আইএসের ফতোয়া কমিটির তৈরি এসব নথি ও দলিলপত্র ফাঁস করেছে।

আইএস তাদের স্বঘোষিত অনেক আইনকে ইসলামিক আইন বলে ব্যবহার করছে। অন্যান্য শাসকদের ‘কাফের’ বলে আখ্যা দেয়া হচ্ছে। তেল এবং প্রত্নতাত্ত্বিক জিনিসপত্র চুরি করে বিক্রি করাকে আইএস বৈধ মনে ফতোয়া দিয়েছে।

নারীদেরকে ক্রীতদাসীদের বিষয়ে ব্যাবহারের যে ফতোয়া দেয়া হয়েছে তাও যাচাই বাছাই না করেই চালু করা হয়েছে।

আইএস এসব জায়েজ করার জন্য ১৫টি আইনের কথা বলেছে। সেখানে কোন কোন সময়ে নারীদের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করা যাবে আর কোন কোন নারীর সঙ্গে করা যাবে না তাও বাতলে দেয়া হয়েছে।জারি করা ফতোয়ায় ক্রীতদাসী নারীর মাসিক  চলাকালীন এবং গর্ভবতী হলে যৌন সম্পর্ক করা যাবে না। তাছারা, জোর করে  গর্ভপাত করানোর ওপর বিধিনিষেধ জারি করা হয়েছে ঐ ফতোয়ায়।

আইএসের ফতোয়ায় বলা হয়েছে, কোনো নারী বন্দির মালিক (আইএস সদস্য) যদি ওই নারীর সঙ্গে যৌন সম্পর্ক করে তাহলে তার মায়ের সঙ্গে যৌন সম্পর্ক করা নিষেধ। আর যদি ওই নারীর সঙ্গে যৌন সম্পর্ক করে তাহলে মেয়ের সঙ্গে যৌন সম্পর্ক করার অনুমতি নেই। এছাড়া এক সঙ্গে দুই বোনের সঙ্গে  যৌন সম্পর্কেও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। অ্যানাল সেক্স সম্পূর্ণ নিষেধ। 

ফতোয়ায় আরও বলা হয়, কোনো নারী ক্রীতদাসী যদি তার মালিক(আইএস সদস্য) কর্তৃক গর্ভবতী হন তাহলে তাকে রাখতে হবে এবং তার(আইএস সদস্যের) মৃত্যুর পর ওই নারী মুক্তি পাবে।

ক্রীতদাসীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করতে পারে এ রকম কোনো ব্যক্তির কাছে তাকে বিক্রি করার অনুমতি নেই জঙ্গিদের। 

ফতোয়ায় আরও বলা হয়, নারী বন্দির মালিককে তার প্রতি সহানুভূতি দেখাতে হবে, দয়ালু হতে হবে, তাচ্ছিল্য করা যাবে না, সে পারবে না এমন কাজ দেয়া যাবে না। 

গত বছর থেকে এ পর্যন্ত এক হাজার ইয়াজিদি নারীকে যৌনদাসী বানিয়েছে আইএস জঙ্গিরা।

তাদের মধ্যে কিছু নারী পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছে। তারা মানবাধিকার সংগঠনগুলোকে জানিয়েছে, কীভাবে আইএস সদস্যরা তরুণী এবং কিশোরীদের তাদের পরিবার থেকে আলাদা করে ইরাক ও সিরিয়ায় জঙ্গিদের কাছে বিক্রি করা হয়।  

 এ বছরের মে মাসে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনীর এক অভিযানে আইএসের শীর্ষ অর্থনৈতিক কর্মকর্তা আবু সায়াফের কাছ থেকে সর্বশেষ দলিলপত্র সংগ্রহ করা হয়। অভিযানে আবু সায়াফ মারা যান। এই অভিযানে জালিলা নামে এক ইয়াজেদি যৌনদাসীকে উদ্ধার করা হয়।