English Version
আপডেট : ২৭ জানুয়ারি, ২০১৯ ১৩:০৪
সূত্র:

একটানা কাজ করলে যে ক্ষতি হয়

একটানা কাজ করলে যে ক্ষতি হয়

আধুনিক এক সময়ে সব মানুষই কর্মব্যস্ত। সারা দিন এক টানা বসে কাজ করতে হয় অনেকেই। কিন্তু এতে কতটুকু ঝুঁকি থাকে তা কি জানেন? কাজ করা যেমন গুরুত্বপূর্ণ তেমনি এই বিষয়েও সচেতন থাকা জরুরি। প্রাথমিক কিছু বিষয় আমাদের নজর এড়িয়ে যায় বলেই হয় নানান রকমের ক্ষতি। আমাদের দেহের হাড় ও স্নায়ুর নানা রকম ক্ষতি হয় এর কারণে। অস্টিওপিনিয়া, অস্টিওপোরোসিস, অস্টিওআর্থ্রাইটিস এসব অসুখ তো হতেই পারে সাথে হাড়ের জয়েন্টে আসে নানা জটিলতা। এছাড়া এক টানা কাজের ফলের স্নায়ুর নানা সমস্যা হওয়া অস্বাভাবিক নয়।

অনেকেরই পেশিতে টান, ব্যথা এসব হয় আর দীর্ঘ সময় এভাবে বসে কাজ করলে হাঁটুতে ক্ষয় হয় দ্রুত। এছাড়া এক জায়গায় বসে কাজ মানসিক অবসাদও ডেকে আনে। একটানা বসে কাজ করলে হাড়ে ব্যথা হওয়ার অন্যতম কারণ হলো এসির বাতাস আর বাইরের রোদ গায়ে না লাগানো। ফলে অতি প্রয়োজনীয় ভিটামিন ডি পায় না শরীর। তাই ভিটামিন ডি-এর ঘাটতিতে হাড় এমনিই দুর্বল হয়ে পড়ে।

এদিকে নিয়ম অনুসারে একটানা এক ঘণ্টার বেশিই এভাবে বসা উচিত নয়। সুতরাং টানা সাত থেকে আট ঘণ্টা বসে থাকলে ক্ষতি হওয়াটাই স্বাভাবিক। কিন্তু বসে কাজ করাই যদি পেশার অংশ হয়ে থাকে তবে যাবতীয় সাবধানতাও নিতে হবে। জরুরি ব্যায়ামগুলো করতে হবে। জীবনযাত্রার কিছু পরিবর্তনও আনতে হবে।

অন্য কোনো অসুবিধা না থাকলে ক্যালসিয়াম ও ওষুধ খেতে পারেন প্রতিদিন। ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ খাবারও বেশি খেতে হবে। এছাড়া ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড আছে এমন খাবার খান।

আরো কিছু পরামর্শ

একটানা বসে থাকার সময় মাঝে মাঝে এক হাঁটুর উপর অন্য পা তুলে বসুন। কিছু ক্ষণ বসার পর পা নামান। প্রতি এক ঘণ্টা পর সিট ছেড়ে উঠুন।

যাদের হাড়ের অসুখ আছে তারা একটানা বসে থাকতে গেলে একটা নিক্যাপ পড়ুন।

হাঁটাহাঁটি করে আসুন বা অফিসের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে ঘুরে আসুন, সহকর্মীদের সঙ্গে কথা বলুন।

রোদ লাগান শরীরে। লাঞ্চ বিরতিতে বা মাঝে মাঝেই বাইরে বেরিয়ে মিনিট পাঁচ-সাত কাটিয়ে আসুন।

চেয়ারে বসে বসে লেফট রাইট করা বা একটু উঠে মিনিট দুই-তিন স্পট জগিং করে এলেও পেশির সঞ্চালন হবে। এতে পেশির স্টিফনেস কমে।

একটানা কাজ করতে হলে অফিস ডেস্কে রাখুন স্মাইলি বল এটি মানসিক চাপ কমায়। কাজের মাঝে পনেরো-বিশ সেকেন্ড ধরে চাপ দিন তাতে।

অফিস বাদে বাকি সময় চেষ্টা করুন মোবাইল ব্যবহার না করতে বা কম্পিউটারের সামনে না বসতে।