English Version
আপডেট : ৩০ মে, ২০১৮ ১৪:১৪

সুস্থতায় প্রতিদিনের সঙ্গী মধু এবং দারুচিনি!

অনলাইন ডেস্ক
সুস্থতায় প্রতিদিনের সঙ্গী মধু এবং দারুচিনি!

সুস্থভাবে বাঁচতে চান নাকি ডাক্তারের সেবায় শ্বাস নিতে চান। সবাই তো সুস্থভাবেই বাঁচতে চায়। এমন কাউকে কি খুঁজে পাবেন যে বলবে যে আমি অসুস্থ হতে চাই। তাই যদি হয় তাহলে মধু এবং দারুচিনি খাওয়ার অভ্যাস করেননি কেন? একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে, এই দুই প্রাকৃতিক উপাদান একসঙ্গে খেলে শরীরে ভিটামিন এবং মিনারেলের ঘাটতি দূর হয়। সেই সঙ্গে শরীরের প্রতিটি অঙ্গের কর্মক্ষমতা এমন মাত্রায় বেড়ে যায় যে, মেলে আরও অনেক শারীরিক উপকার। যেমন ধরুন...

১. দাঁত ভাল রাখে: দারুচিনি এবং মধুতে এমন কিছু পুষ্টিকর উপাদান রয়েছে যা শরীরে প্রবেশ করার পর একদিকে যেমন দাঁতকে শক্তপোক্ত করে, তেমনি মুখগহ্বরে উপস্থিত ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়াদের মেরে ফেলে। ফলে মুখের দুর্গন্ধ যেমন দূর হয়, তেমনি কোনও ধরনের ডেন্টাল প্রবলেম মাথা চাড়া দিয়ে ওঠার আশঙ্কাও হ্রাস পায়।

২. ওজন হ্রাসে সাহায্য করে: স্টাডিতে দেখা গেছে নিয়মিত সকালে উঠে গরম জলে মধু এবং দারুচিনি মিশিয়ে খেলে শরীরে ভিতর এমন কিছু পরিবর্তন হতে শুরু করে যে মেদ ঝরার প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত হয়। ফলে ওজন হ্রাস পেতে সময় লাগে না।

৩. আর্থ্রারাইটিসের প্রকোপ কমায়: নিয়মিত গরম পানিতে পরিমাণ মতো মধু এবং দারুচিনি পেস্ট মিশিয়ে খেলে জয়েন্টে প্রদাহ কমতে শুরু করে। সেই সঙ্গে হাড়ও শক্তপোক্ত হয়ে ওঠে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই আর্থ্রারাইটিসের মতো রোগের প্রকোপ কমতে সময় লাগে না।

৪. ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকে: পরিবারের যাদের এই মরণ রোগের ইতিহাস রয়েছে তারা আজ থেকেই দারুচিনি এবং মধু খাওয়া শুরু করতে হবে। কারণ এই দুই প্রকৃতিক উপাদান ইনসুলের কর্মক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়। ফলে রক্তে শর্করার মাত্রা বৃদ্ধি পেয়ে টাইপ ২ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা হ্রাস পায়।

৫. ক্যান্সার নিয়ন্ত্রণে রাখে: মধুতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইটোনিউট্রিয়েন্ট, যা শরীর থেকে টক্সিক উপাদানদের বের করে দিয়ে ক্যান্সার সেলের জন্ম নেওয়ার আশঙ্কা কমায়। অন্যদিকে দারুচিনিতে উপস্থিত অ্যান্টি-টিউমার প্রপাটিজ শরীরে কোথাও টিউমার হতে দেয় না। ফলে ক্যান্সার রোগ ধারে কাছে ঘেঁষার সুযোগই পায় না।

৬. হার্টের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটায়: শরীরে খারাপ কোলেস্টেরল বা এল ডি এল মাত্রা কমানোর মধ্যে দিয়ে হার্টের স্বাস্থ্যের উন্নতিতে দারুচিনি এবং মধু বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। শুধু তাই নয়, মধুতে উপস্থিত অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হার্টের ভিতরে প্রদাহ কমায়। ফলে কোনও ধরনের হার্ট ডিজিজ হওয়ার আশঙ্কা কমে। সেই সঙ্গে কমে হঠাৎ করে হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনাও।