English Version
আপডেট : ২৫ অক্টোবর, ২০১৭ ১৭:১১

দীর্ঘজীবী হতে আয়ুর্বেদ উপাদানের ব্যবহার!

অনলাইন ডেস্ক
দীর্ঘজীবী হতে আয়ুর্বেদ উপাদানের ব্যবহার!

বর্তমানে অসুস্থ হতে কোনও বয়সের দরকার হয় না। যে কোনও বয়সেই এখন যে কেউ সাধারণ থেকে জটিল রোগে আক্রান্ত হতে পারেন। এর পেছনে মূল কারণ যেমন আমাদের অতি আধুনিক খাদ্যাভ্যাস এবং জীবনযাত্রা, তেমনই পরিবেশের হঠাৎ পরিবর্তনও।

শারীরিক সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে গেলে আমাদের পরিবেশের উপর ভরসা করতেই হবে। যাতে জীবনের অনেকগুলি দিন আমরা সুস্থভাবে কাটাতে পারি। এক্ষেত্রে কিছু খাবার প্রতিদিন খাওয়া উচিৎ যেমন-

১। আমলকীঃ আয়ুর্বেদ শাস্ত্রে আমলকী একটি অতি পরিচিত নাম। আয়ুর্বেদ শাস্ত্র অনুযায়ী, আমলকী আমাদের শরীরে তিনটি দোষ, অর্থাৎ বায়ু, পিত্ত এবং কফের মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে। সেই সঙ্গে আমলকীর মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি উপস্থিত থাকে। যার ফলে নানারকম রোগ এবং জীবাণুর হাত থেকে আমরা রক্ষা পেতে পারি।

২। আদাঃ আদার মধ্যে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট উপস্থিত থাকে। আদাতে প্রায় ২৫ ধরণের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপস্থিত থাকে। এই অ্যান্টিঅক্সিডেন্টগুলি নানারকম রোগ নির্মূল করতে সাহায্য করে। এছাড়াও হার্টের সমস্যা, ডায়াবেটিস, হাড়ের সমস্যা এবং ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা কমাতে পারে।

৩। এলাচঃ এলাচ আমাদের শরীরের ভিতর থেকে বিষাক্ত পদার্থ বেড়িয়ে যেতে সাহায্য করে এবং আমাদের শরীরকে সুস্থ রাখে। এলাচের মধ্যে এক ধরণের তেল থাকে, যা আমাদের হজম শক্তি বাড়িয়ে তোলে, রক্তে শর্করার মাত্রা বজায় রাখে, রক্ত সঞ্চালনে সহায়তা করে এবং এনার্জি বৃদ্ধিতেও সাহায্য করে।

৪। লবঙ্গঃ লবঙ্গ হাজারো গুনে সমৃদ্ধ। যেমন এর মধ্যে জীবাণুনাশক, ছত্রাকনাশক, অ্যালার্জি নিরোধক এবং ক্ষতস্থান সারিয়ে তোলার ক্ষমতা রয়েছে। সেই কারণেই তো দৈনন্দিন জীবনে লবঙ্গের ব্যবহার খুবই অপরিহার্য। লবঙ্গের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ম্যাঙ্গানিজ রয়েছে, যা আমাদের স্নায়ুতন্ত্রেক কর্মক্ষমতা বাড়ায়।

৫। গোলমরিচঃ শুধুমাত্র রান্নায় মশলা হিসাবে নয়, গোলমরিচের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ভেষজ গুণ ও খনিজ গুণ রয়েছে। গোলমরিচের আরও একটি গুণ আছে, এটি হলুদের সঙ্গে মিশে আরও বেশি শক্তিশালী হয়ে ওঠে। ফলে হলুদ মেশানো দুধে গোলমরিচ মিশিয়ে খেলে বেশি উপকার পাওয়া যায়। এছাড়াও গোলমরিচ হজম প্রক্রিয়া দৃঢ় করতে সাহায্য করে