English Version
আপডেট : ১০ সেপ্টেম্বর, ২০১৭ ১৩:৫৬

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে কারি পাতা!

অনলাইন ডেস্ক
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে কারি পাতা!

কারি পাতা এক কথায় মাথার চুল থেকে পায়ের নখ পর্যন্ত শরীরের প্রতি অঙ্গের কর্মক্ষমতা বাড়াতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। একাধিক মরণ রোগকে দূরে রেখে আয়ু বৃদ্ধিতেও সাহায্য করে। যদি সুস্থ-সুন্দর জীবন পেতে চান, তাহলে আজ থেকেই কারি পাতা ব্যবহার করতে শুরু করুন।

চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক কারি পাতার উপকার সম্পর্কে-

অ্যানিমিয়া দূর করেঃ ফলিক এবং আয়রনে ভরপুর এই প্রাকৃতিক উপাদানটি শরীরে প্রবেশ করার পর লহিত রক্ত কনিকার মাত্রা এতটাই বাড়িয়ে দেয় যে অ্যানিমিয়ার মতো রোগ বেশিদিন শরীরে থাকার সুযোগই পায় না। প্রতিদিন সকালে একটা খেজুরের সঙ্গে ২টা কারি পাতা খেলেই উপকার পাবেন।

লিভারের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি করেঃ প্রাকৃতিক উপাদানটি অক্সিডেটিভ স্ট্রেস এবং ক্ষতিকর টক্সিনের হাত থেকে লিভারকে রক্ষা করে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই শরীরের এই গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গটির কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। সেই সঙ্গে লিভারের উপর অ্যালকোহলের কুপ্রভাবও পরে কম। এক্ষেত্রে এক কাপ কারি পাতার রসে এক চামচ ঘি, অল্প পরিমাণে চিনি এবং গোলমরিচ মিশিয়ে খেলে উপকার পাবেন।

ডায়াবেটিসকে নিয়ন্ত্রণে রাখেঃ প্রতিদিন কারি পাতা খেলে ইনসুলিনের কর্মক্ষমতা বাড়তে শুরু করে। ফলে রক্তে শর্করার মাত্রা স্বাভাবিক লেভেলের উপরে যাওয়ার সুযোগ পায় না। কারি পাতায় উপস্থিত ফাইবারও ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।

হার্ট ভাল রাখেঃ কারি পাতায় এমন কিছু উপাদান রয়েছে, যা রক্তে খারাপ কোলেস্টরলের মাত্রা কমাতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। কারি পাতা শরীরে প্রবেশ করা মাত্র খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা তো কমেই, সেই সঙ্গে ভাল কোলেস্টরলের পরিমাণও বাড়তে শুরু করে। ফলে হার্টের কর্মক্ষমতার উন্নতি ঘটে।

ত্বকের সংক্রমণ কমায়ঃ কারি পাতায় উপস্থিত শক্তাশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টি-ফাঙ্গাল প্রপাটিজ যে কোনও ধরনের স্কিন ইনফেকশন কামতে দারুন কাজে লাগে।