English Version
আপডেট : ৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৭ ০৮:৩৫

কোরবানির মাংস খেতে লক্ষ্য রাখুন !!!

অনলাইন ডেস্ক
কোরবানির মাংস খেতে লক্ষ্য রাখুন !!!

আসছে কোরবানির ঈদ, আর ঈদে জম্পেস মাংসভোজ হবে এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু সবাই কি আর এই মাংসভোজে শরিক হতে পারেন? হার্ট কিংবা প্রেসারের রোগীরা সবসময় লাল মাংস এড়িয়ে চলেন। ঈদে শখের বসে দু’এক টুকরো মাংস খেলেও সবসময় ভয়ে থাকেন তাদের স্বাস্থ্যের কথা ভেবে। ঈদে মাংস খাবেন, এতে আবার চিন্তা কিসের? শুধু কিছু নিয়ম মেনে চললেই হলো।

প্রেসার ও হার্টের রোগীরা মাংস খেতে চাইলে একেবারে চর্বি ফেলে দিয়ে খাবেন। মাংস পরিমাণ মতো খেতে হবে। এক্ষেতে গরু বা খাশির মগজ, কলিজা, ভুড়ি ও হাড়ের ভিতরে মজ্জা একেবারেই খাবেন না। রান্নায় কম লবণ ব্যবহার করাই ভালো।

মাংস খেলে কী হবে? গরু, মহিষ, ছাগল ও খাসির মাংসে যে পরিমাণ চর্বি থাকে, যা উচ্চমাত্রার প্রোটিন। মাংসের উচ্চমাত্রার প্রোটিন কিডনি রোগীদের ঝুঁকি বাড়ায়। এছাড়া হৃদরোগী ও ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ব্যক্তিদেরও ঝামেলায় পড়েন। মাংসে থাকা চর্বির কারণে রক্তে কোলেস্টেরলের পরিমাণ বেড়ে গেলে রক্তচাপ বেড়ে যেতে পারে। ফলে রক্তনালী চিকন হয়ে রক্তচাপকে আরও বাড়িয়ে দেয়। সঙ্গে বাড়ে প্রেসারও। এছাড়া মাংসের চর্বি হার্টের স্বাভাবিক কাজকর্মে বাধা দেয় এবং শরীরের রক্তনালীগুলোতে জমতে থাকে। ধীরে ধীরে স্ট্রোক ও হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকিও বেড়ে যায়।

মাংস খাব কীভাবে? হার্ট কিংবা প্রেসারের রোগীরা চর্বি আলাদা করে মাংস খাবেন। মাংস ছোট ছোট করে কাটলে চর্বি খুলে আসে। এছাড়া কাঁচা মাংস পানিতে ভিজিয়ে রাখলে চর্বি ভেসে ওঠে। রান্নার পর ওপরে ঝোলের সঙ্গে ভেসে থাকা তেলটুকু ফেলে দেয়া। শুধু ভুনা মাংস না খেয়ে মাংসে সবজি ব্যবহার করা। সহজ পদ্ধতি হলো মাংস গরম পানিতে দিয়ে ৫ মিনিট পর পানি ঝড়িয়ে রান্না করা। আরো সহজ পদ্ধতি হচ্ছে, কাবাব বা গ্রিল করে খাওয়া।

সতর্কতা?

মাংস রান্নার সময়ে অতিরিক্ত চর্বি তো বা দেবেনই, সাথে অতিরিক্ত তেল-চর্বি না দিয়েই রান্না করার চেষ্টা করুন। চর্বি ফেলে দেবার পরেও মাংসের ভেতরে যতটা চর্বি থাকে তা রান্নার জন্য যথেষ্ট। এতে আরও চর্বি বা তেল যোগ করলে রান্না হয়তো মজা হবে কিন্তু স্বাস্থ্যের হবে ক্ষতি।

দৈনিক কিছু পরিমাণ প্রোটিন খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্যই জরুরী। কিন্তু অতিরিক্তও খাওয়া যাবে না। অনেকে মনে করেন কোরবানির সময়টাতেই বেশি করে খেয়ে নেবেন। কিন্তু তা না করাই ভালো। দৈনিক ৯০ গ্রামের বেশি মাংস না খাওয়ার চেষ্টা করুন।

ব্লাড প্রেসার ও হার্টের রোগীদের আঁশযুক্ত খাবার বেশি বেশি খেতে হবে। খাবারের তালিকায় সালাদ, সবজি, লেবু ও ফলমূল নিয়মিত রাখবেন। এগুলো আপনার হজমে সহায়তা করবে। আর জিভটাকে সামাল দিয়ে চলুন। বেশি সমস্যায় পড়লে চিন্তা কী? চিকিৎসক তো আছেন।