১৮.৯ ইঞ্চি পুরুষাঙ্গ নিয়ে বড় বিপদে লোকটি

স্বাস্থ্য ডেস্ক: সাধারণত মানুষের ধারণা পুরুষাঙ্গ বড় মানেই ভাল। কিন্তু তা যে বিপদের কারণ হতে পারে তা হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছেন মেক্সিকোর বাসিন্দা রবার্তো এসকুইভেল ক্যাবরেরা।
৫৪ বছরের রবার্তোর পুরুষাঙ্গের মাপ ১৮.৯ ইঞ্চি। রবার্তোর দাবি, পৃথিবীর সবথেকে বড় পুরুষাঙ্গটি তাঁরই। ২০১৫ সালে তাঁকে নিয়ে তৈরি হওয়া একটি ভিডিও-র সৌজন্যে রাতারাতি জনপ্রিয় হয়ে যান রবার্তো। কিন্তু যে পুরুষাঙ্গের জন্য তাঁর জনপ্রিয়তা, সেই পুরুষাঙ্গটিই তাঁর জীবনকে বিষিয়ে দুঃসহ করে তুলেছে।
এই পুরুষাঙ্গ তার জীবিকাতেও টান ফেলে দিয়েছে। কারণ আর পাঁচজন স্বাভাবিক মানুষের মতো হাঁটাচলাও করতে পারেন না তিনি। কাজেও যেতে পারেন না। জোরে দৌড়নো, হাঁটু মুড়ে বসা সব কিছুতেই বাধা হয়ে দাঁড়ায় পুরুষাঙ্গ। যে কারণে কর্মক্ষমতা নিয়ে সংশয়ে থাকে নিয়োগকারীরা। ফলে কোনও জায়গাতেই চাকরি পান না তিনি।
এত বড় পুরুষাঙ্গের কারণ সম্পর্কে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, এর জন্য কিছুটা হলেও রবার্তো নিজেই দায়ী। টিনএজ বয়সেই তিনি নিজের পুরুষাঙ্গ বড় করার জন্য নানারকম চেষ্টা করতেন। এমনকী পুরুষাঙ্গে ভারী ওজনও ঝুলিয়ে রাখতেন তিনি। দীর্ঘদিন এই ধরনের পরীক্ষানিরীক্ষা করার ফলে রবার্তোর গোটা শরীরের ত্বকেরই প্রসারণ ঘটে। সব থেকে বেশি প্রভাব পড়ে পুরুষাঙ্গে। যে পুরুষাঙ্গ নিয়ে কম ভুগতে হয় না রবার্তোকে। মাঝে-মধ্যেই পুরুষাঙ্গের সংক্রমণে ভুগতে হয়। পুরুষাঙ্গে যাতে ঘষা না লাগে, তার জন্য সারাক্ষণ সেটিতে মোটা ব্যান্ডেজের আস্তরণও জড়িয়ে রাখতে হয়। রাতে ঘুমোনোর সময় একটি বালিশের উপরে পুরুষাঙ্গ রেখে ঘুমোতে হয়।
চিকিৎসকরা বার বারই তাঁকে অস্ত্রোপচার করে পুরুষাঙ্গ স্বাভাবিক মাপের করে নেওয়ার জন্য পরামর্শ দিয়েছেন। কিন্তু অসুবিধা সত্ত্বেও তা করতে রাজি নন রবার্তো। তাঁর দাবি, নিজের পুরুষাঙ্গ নিয়েই তিনি খুশি। কারণ, এটির জন্যই তিনি জনপ্রিয়। তাঁর লক্ষ্য, গিনেস বুক অফ রেকর্ডসে নাম তোলা। কিন্তু যে বিষয়টির জন্য রেকর্ড বুকে নাম তুলতে চাইছেন তিনি, সেই বিষয়টিকেই নাকি স্বীকৃতি দেয় না গিনেস বুক। যৌনসম্পর্ক তৈরি করতে গিয়ে কী অভিজ্ঞতা হয়েছিল রবার্তোর?
পুরুষাঙ্গই রবার্তোর যৌন জীবন উপভোগ করার পথে প্রধান বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমেরিকায় থাকার সময় প্রথমবার এক মহিলার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক তৈরির চেষ্টা করেন তিনি। কিন্তু দানবীয় পুরুষাঙ্গ দেখেই ঝুঁকি নিয়ে নিজের বিপদ বাড়াননি সেই মহিলা। কিন্তু আর এক মহিলা সেই ভুলটি করেছিলেন। কিন্তু যন্ত্রণা সহ্য করতে না পেরে তিনিও রণে ভঙ্গ দেন।
আমেরিকা থেকে ২০০১ সালে বিতাড়িত করা হয় তাঁকে। তাঁর বিরুদ্ধে অন্যতম অভিযোগ ছিল, দুই নাবালিকাকে নিজের যৌনাঙ্গ দেখান তিনি। রবার্তো অবশ্য হাল ছাড়ছেন না। পর্ন স্টার হওয়ার স্বপ্ন দেখেন তিনি। শুধু তাই নয়, তাঁর আশা আমেরিকায় নিশ্চয়ই এমন কোনও মহিলা আছেন, যিনি তাঁর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক তৈরি করতে সক্ষম হবেন।