লাউ শীতকালীন সবজি হলেও এখন হাতের নাগালে পুরো বছরই পাওয়া যায়। অন্যান্য সবজির থেকে লাউ রান্না করাটা অনেক ইজি। তরকারিতে যেমন লাউয়ের ব্যবহার আছে; তেমনি এর রয়েছে বহুবিদ ব্যবহার। তেমনই একটি রেসিপিতে আজ আপনাদের আমন্ত্রণ। চলুন তাহলে দেখি। 

প্রাথমিক প্রস্তুতি:

লাউ কেনার সময়ে একটু সতর্ক থাকতে হবে বেশি কচি বা শক্ত লাউ কেনার দরকার নেই! দেখে শুনে মাঝারি মানের লাউ কেনাই উত্তম। 

আগেই বলে নেই, আমি হলুদ ও মরিচ গুড়া দেই নাই তবে আপনারা যারা তরকারীর রং সাদা সাদা পছন্দ করেন না তারা সামান্য হাফ এক চিমটি মরিচ গুড়া ও এক চিমটি হলুদ গুড়া দিতে বলবো (প্রয়োজনে এক চিমটির জায়গায় কম বেশি করা যেতে পারে)!

উপকরন ও পরিমানঃ  – কচি লাউঃ ৫০০ গ্রাম কম বা বেশী – ছোট চিংড়িঃ ৫০ গ্রাম কম বেশী (সামর্থানুযায়ী) – পেঁয়াজ কুচিঃ তিনটে মাঝারি – রসুন বাটাঃ এক চা চামচ – কাঁচা মরিচঃ কয়েকটা – ধনিয়া পাতার কুচিঃ মনের আনন্দে দিন (আপনার ইচ্ছা) – চিনিঃ দুই চিমটি – লবনঃ হাফ চা চামচ (শেষে দেখেও নিতে পারবেন) – তেলঃ ৬/৭ টেবিল চামচ (কম তেলেও মন্দ হয় না) – পানিঃ এক কাপ (লাউ কেমন তা দেখে, শক্ত হলে বেশী লাগতে পারে)

প্রনালীঃ ( কথা বলে)  ১, তেল গরম করে তাতে পেঁয়াজ কুঁচি ভাঁজুন এবং রসুন বাটাও দিন, সামান্য লবন দিন।  ২, চিংড়ি ও কয়েকটা কাঁচা মরিচ দিয়ে দিতে পারেন।  ৩, ভাল করে ভেঁজে নিন।  ৪, পেঁয়াজের রং হলদে হয়ে এলে, লাউ দিয়ে দিন। (শক্ত লাউ হলে আগে একটু ভাপিয়ে নিতে পারেন)  ৬, ভাল করে কাঠের খুন্তি দিয়ে মিশিয়ে নিন। আগুন মাঝারি আঁচে থাকবে।  ৭, কয়েক মিনিট পর এক কাপ পানি দিন। বুঝে এবং দেখে!  ৯, এবার ঢাকনা দিয়ে আগুন একটু কমিয়ে মিনিট ১৫ রাখুন।  ১০, মাঝে মাঝে নাড়িয়ে দিতে পারেন। লাউ নরম হয়ে যাবে। এই ফাঁকে দুই চিমটি চিনি দিয়ে দিন (যারা চিনি পছন্দ করেন না, দেয়ার দরকার নেই)।  ১২, এবার আরো কয়েকটা কাঁচা মরিচ চিঁরে দিতে পারেন।  ১৩, ধনিয়া পাতার কুঁচি দিন। মিশিয়ে নিন। ফাইন্যালে লবন দেখুন। লাগলে দিন না লাগলে, আগে বাড়ুন। ঝোল যদি একটি বেশি থাকে এবং তা কমিয়ে নিতে চাইলে ঢাকনা সরিয়ে আগুন বাড়িয়ে দিন। কয়েক মিনিটেই ঝোল কমে যাবে।  ১৪,  আগুন নিবিয়ে কয়েক মিনিট ঢাকনা দিয়ে রাখুন এবং পরিবেশনের জন্য এবার প্রস্তুত লাউ রেসিপি।