English Version
আপডেট : ৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৬ ১১:১৭

ব্যথা থেকে মুক্তি দেবে ম্যাস্ট

অনলাইন ডেস্ক
ব্যথা থেকে মুক্তি দেবে ম্যাস্ট

নিত্যদিন অফিসের দৌড়ঝাঁপ, দীর্ঘক্ষণ বসে থাকা, একনাগাড়ে কম্পিউটারের সামনে বসে কাজ করতে থাকার ফল পিঠে কিংবা কোমরের অসম্ভব যন্ত্রণা। অনেকেই এখন কোমরের ব্যথায় ভুগছেন।মূলত ৩৫থেকে ৫৫ বছর বয়সীরা। এমনকী প্রতি ১০ জনের মধ্যে ৮ জন সারা জীবনই ক্রনিক ব্যাক পেইনে ভোগেন। যার প্রভাব তাঁদের কর্মজীবন এবং ব্যক্তিগত জীবনেও পড়ছে বলে মত বিশেষজ্ঞদের।

সমীক্ষা অনুযায়ী, ৭০ শতাংশ মানুষ পিঠে যন্ত্রণা এবং মাসকিউলোস্কেলিটাল ডিসঅর্ডারের শিকার। যাঁরা পেশাগত দিক থেকে কম্পিউটারের সঙ্গে কোনও না কোনওভাবে জড়িত, চিকিৎসকদের মতে, তাঁদের অধিকাংশই পিঠে ব্যথা সম্পর্কে সচেতন নন।

মেরুদণ্ডে কোনওরকম হ্যাঁচকা টান লাগলে অবশ্যই তা গুরুত্ব সহকারে নজর দেওয়া প্রয়োজন। বসার অভ্যাস ঠিক না হলে, অপুষ্টিকর খাবার খেলে, ওবেসিটি, অতিরিক্ত স্ট্রেস এবং ধূমপানের ফলে প্রাথমিকভাবে কোমরে যন্ত্রণা শুরু হয়।

মানুষের শিরদাঁড়ার লম্বা অস্থিসারের কাঠামো একে অপরের সঙ্গে ৩৩টি ভার্টিব্রার দ্বারা যুক্ত থাকে। যাকে বলা হয় ইন্টার–ভার্টিব্রাল ডিস্কস। অতিরিক্ত চাপ পড়লেই শুরু হয় ব্যথা। ব্যথা বেড়ে গেলে ডিস্কগুলির কার্যক্ষমতা কমে গিয়ে মেরুদণ্ডে ফাটল ধরে যায়। তখন সার্জারি করা ছাড়া অন্য কোনও উপায় থাকে না। আধুনিক সার্জারি মিনিম্যালি অ্যাকসেস স্পাইন টেকনোলজি (‌ম্যাস্ট)–র‌ মাধ্যমে চিকিৎসা সম্ভব।

অর্থোস্পাইন সার্জেন জানান, মেরুদণ্ডের অস্ত্রোপচারে ম্যাস্ট একটি আধুনিক প্রযুক্তি। এটি এক ধরনের কী–হোল সার্জারি। মেরুদণ্ডে সঠিকভাবে অস্ত্রোপচার হচ্ছে কিনা তা এস সেভেন সার্জিক্যাল নেভিগেশন সিস্টেমের দ্বারা অস্ত্রোপচার চলাকালীন চিকিৎসকদের গাইড করতেও সাহায্য করে। নেভিগেশন প্রযুক্তি অনেকটা জি পি এসের মতো।

যেখানে অপটিক্যাল বা ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক ব্যবহার করায় সার্জেনকে বুঝতে সাহায্য করে যথাযথ স্থানে অস্ত্রোপচার হচ্ছে কিনা। রয়েছে ইন্ট্রা–অপারেটিভ নার্ভাস মনিটরিং (‌আই ও এন এম)‌ সিস্টেম। এর সাহায্যে স্পাইনাল কর্ডের আঘাতের এবং নার্ভের ঝুঁকি কতটা তা পর্যবেক্ষণ করা যায়। স্নায়ুর ক্ষতি প্রতিরোধে অ্যালার্ম দিয়েও জানান দেয়।

এই পদ্ধতির সাহায্যে তাড়াতাড়ি, সুরক্ষিত, কাঁটাছেড়া ছাড়া, নিখুঁতভাবে সম্ভব অস্ত্রোপচার। তবে ম্যাস্ট পদ্ধতি ব্যবহারের জন্য যথেষ্ট দক্ষ হতে হবে চিকিৎসককে। কারণ, খুব সাবধানতার সঙ্গে সঠিক জায়গা বুঝে অস্ত্রোপচার করতে হবে, না হলে জটিলতা বাড়বে।