English Version
আপডেট : ১৬ আগস্ট, ২০১৬ ০৯:১৯

ডায়বেটিসে আক্রান্ত হওয়ার ৭ লক্ষণ

অনলাইন ডেস্ক
ডায়বেটিসে আক্রান্ত হওয়ার ৭ লক্ষণ

ডায়বেটিস থেকে জন্ম নিতে পারে অন্য নানা ধরনের রোগ। কাজেই এই রোগ সম্পর্কে সচেতনতা অত্যন্ত জরুরি। পৃথিবীতে ডায়েবেটিস রোগীর সংখ্যা দিনে দিনে বাড়ছে। ডায়বেটিস টাইপ টু-ই বিভিন্ন ধরনের ডায়বেটিসের মধ্যে সবথেকে বেশি ছড়িয়ে পড়ছে। ডায়বেটিস থেকে জন্ম নিতে পারে অন্য নানা ধরনের রোগ। কাজেই এই রোগ সম্পর্কে সচেতনতা অত্যন্ত জরুরি।

 

কোন কোন লক্ষণ দেখে বুঝতে পারবেন যে আপনি ডায়বেটিসে আক্রান্ত?

 

জার্নাল অফ ডায়বেটিসে প্রকাশিত এক গবেষণাপত্রে ডাক্তার জাখারি ব্লুমগার্ডেন আর গুয়াং নিংগ এই প্রশ্নের উত্তরে জানাচ্ছেন ডায়বেটিসের উপসর্গগুলির কথা। আসুন, আমরাও জেনে নিই-

 

অতিরিক্ত খিদে বোধ : যখন রক্তে চিনির মাত্রা বৃদ্ধি পায়, তখন শরীরকে সচল রাখার জন্য অতিরিক্তি খাদ্যের প্রয়োজন প্রয়োজন হয়। ফলে খিদেও পায় বেশি পরিমাণে।

ক্লান্তি বোধ : ব্লাড সুগার বেড়ে গেলে শরীর ক্লান্ত হয় তা়ড়াতাড়ি।

ঘন ঘন টয়লেটে যাওয়া কিংবা গলা শুকিয়ে যাওয়া : শরীরকে অতিরিক্ত গ্লুকোজ থেকে মুক্তি দেওয়ার জন্য কিডনিকে বেশি খাটতে হয়। ফলে স্বাভাবিকের তুলনায় ঘন ঘন মূত্রত্যাগ করার প্রয়োজন বোধ হয়। একই সঙ্গে এই ক্ষতিপূরণ করার জন্য বেশি পানি পানের প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়।

চামড়া শুকিয়ে যাওয়া এবং চুলকানি দেখা দেওয়া : রক্ত সঞ্চালন স্বাভাবিকভাবে না হওয়ার কারণে ত্বক শুকিয়ে যায় দ্রুত এবং শুষ্কতার কারণেই ত্বকে চুলকানির অনুভূতি হয়।

দৃষ্টি অস্পষ্ট হয়ে আসা : দীর্ঘদিন হাই ব্লাড সুগার থাকলে চোখের দৃষ্টি অস্পষ্ট হয়ে আসে।

কোনো ঘা বা ক্ষত সারতে সময় নেওয়া : ব্লাড সুগার বৃদ্ধি পেলে রক্তসঞ্চালনের স্বাভাবিকতা ব্যাহত হয়। তার ফলে শরীরে কোনও ঘা বা ক্ষত দেখা দিলে তা চট করে সারতে চায় না।

ফাংগাল ইনফেকশন : ব্লাড সুগার বৃদ্ধি পেলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা হ্রাস পায়। পরিণামে শরীরে বাসা ফাংগাস বা ইস্ট ঘটিত ইনফেকশন বাসা বাঁধার সম্ভাবনা বৃদ্ধি পায়।