English Version
আপডেট : ২৮ জুলাই, ২০১৬ ০২:১৫

বেঁচে থাকার শক্তিশালী থেরাপি আলিঙ্গন

অনলাইন ডেস্ক
বেঁচে থাকার শক্তিশালী থেরাপি আলিঙ্গন

শিশু যখন কাঁদে মা তখন তাকে বুকে জড়িয়ে ধরে। নানাভাবে আদর করে শিশুর মানভঞ্জনের চেষ্ঠা করে। সেই শিশুটি যখন বড় হয় তখন প্রিয় কোন মানুষের আলিঙ্গন এক ঝটকায় মন ভাল করে দেয়। সেই সাথে শরীরও বার্তা পায় ভাল কিছুর। তাহলে কি এই আলিঙ্গনের গোপন রহস্য ?

এই বিষয়ে চিকিৎসাবিজ্ঞানীরা বলেন আলিঙ্গন হচ্ছে পৃথিবীর সবচে’ শক্তিশালী থেরাপি এবং দুজন মানুষের মধ্যে সবচে’ ঘনিষ্ট বন্ধন। এটা শুধু আবেগ কিংবা মানসিক সম্প্রীতি বৃদ্ধি করে না; আলিঙ্গন আপনার স্বাস্থ্যের জন্যও উপকারী। আলিঙ্গনের মত এত সহজ, সুন্দর ও কার্যকর ‘ওষুধ’ আর নেই।

মনোচিকিৎসক ভার্জিনিয়া সাটির –এর মতে  “বেঁচে থাকার জন্য আমাদের প্রতিদিন কমপক্ষে চারবার আলিঙ্গনবদ্ধ হওয়া উচিৎ। রক্ষণাবেক্ষণের জন্য আটবার এবং বেড়ে ওঠার জন্য বারোবার আলিঙ্গনে বদ্ধ হওয়া দরকার ।”

আজ বছরের প্রথম দিনে আলিঙ্গনবদ্ধ হতেই পারেন। তাহলে দেখে নেয়া যাক আলিঙ্গনের সাথে সুস্থতার কি সম্পর্ক :

** গবেষণায় দেখা গেছে আপনার জীবনসঙ্গী কিংবা ভালবাসার মানুষটির সাথে আলিঙ্গনবদ্ধ হলে তার অধিক রক্তচাপ কমিয়ে দিতে পারে।

** মানসিক যন্ত্রণা থেকে মুক্তির জন্য আলিঙ্গন খুবই কার্যকর। যখন আমরা আলিঙ্গনবদ্ধ হই তখন তাৎক্ষণিকভাবে স্ট্রেস হরমোনের নি:সরণ হ্রাস পায়।

** দীর্ঘসময় আলিঙ্গন করলে দেহে স্টেরোটোনিনের মাত্রা বৃদ্ধি পায় যা মন ভাল করে দেয় এবং সুখের অনুভূতি দেয়।

** একটি ভালবাসার স্পর্শ আপনাকে একাকীত্বের মানসিক যন্ত্রণা থেকে মুক্তি দিতে পারে।

** আলিঙ্গনে মেয়েদের রক্তে অক্সিটোসিন হরমোনের মাত্রা বেড়ে যায়।

** শারীরিক-মানসিক উত্তেজনা থেকে মুক্তি পেতে পারেন আলিঙ্গনের দ্বারা। যার ফলে আপনার দেহে রক্ত চলাচল স্বাভাবিক হয়।

** আলিঙ্গনবদ্ধ হলে একে অপরের প্রতি বিশ্বাস বৃদ্ধি পায়। তাই মনে কোন অযৌক্তিক ভয় বাসা বাঁধলে তা দুর হয়ে যায়। আত্মবিশ্বাস ফিরে আসে।

তাই আর দেরী কেন, আজই প্রিয় মানুষটিকে বেঁধে ফেলুন আপনার দুবাহুর আলিঙ্গনে।