English Version
আপডেট : ২১ জুলাই, ২০১৬ ১৩:২১

প্লাস্টিক পণ্যের রাসায়নিকে শুক্রানুর ক্ষতি

অনলাইন ডেস্ক
প্লাস্টিক পণ্যের রাসায়নিকে শুক্রানুর ক্ষতি

টুথপেস্ট, সাবান ও প্লাস্টিকের নানা জিনিসের ওপর আমরা দারুণভাবে নির্ভরশীল। এসব জিনিস আমাদের দৈনিক জীবনের প্রায় সব কাজের সাথে মিশে আছে। তাই এসবের যেমন ভাল ‍দিক আছে তেমনি খারাপ দিকও আছে।

গবেষকরা বলছেন এসব পণ্যের নিয়মিত ব্যবহারে অভাবনীয় ভাবে শুক্রানুর উপর ক্ষতিকর প্রভাব পড়ে। তাই প্রতিদিন একটু একটু করে হারিয়ে যাচ্ছে প্রজনন ক্ষমতা। 

এই প্রথম গবেষণার মাধ্যমে মানুষের তৈরি রাসায়নিকের সঙ্গে পুরুষের সন্তান উৎপাদন ক্ষমতার সম্পর্ক থাকার বিষয়টি উদ্ঘাটিত হলো। সাম্প্রতিক এই আবিষ্কার প্রয়োজনীয় জিনিসের মধ্যে লুকিয়ে থাকা বিষের প্রতি উৎকণ্ঠা দূর করতে পারে সচেতনতার মাধ্যমে।

ব্রিটিশ দৈনিক ইন্ডিপেনডেন্টে ডেনমার্কের হসপিটাল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক নেইলস শেকাকেবাকের এ গবেষণার ফলাফল প্রকাশিত হয়। এ গবেষণায় দেখা গেছে, টুথপেস্ট, সাবান এমনকি প্লাস্টিকের খেলনার মতো নির্দোষ এবং নিত্যপণ্যে কিছু রাসায়নিক উপাদান রয়েছে যা পুরুষের শুক্রাণুর শক্তি হ্রাস করে। এমনকি  সাঁতার কাটার আচরণও বদলে দেয়। নারীর ডিম্ব কোষে ঢোকার জন্য এক জাতের এনজাইমের নিঃসরণ ঘটায় পুরুষ শুক্রাণু। কিন্তু এভাবে আচরণ বদলে যাওয়ায় নির্ধারিত সময়ের আগেই এ এনজাইমেরে নিঃসরণ ঘটায় এবং এসব শুক্রাণু ডিম্বে ঢুকতে ব্যর্থ হয়।

এ গবেষণার মধ্য দিয়ে প্রতিদিনের ব্যবহার্য পণ্যে লুকিয়ে থাকা গোপন বিষের বিষয়টিও প্রকাশ পায়। অধ্যাপক নেইলস শেকাকেবাক বলেন, মানব সৃষ্ট রাসায়নিক উপাদানের সম্পর্কে এলে তা যে দেহের হরমোন ব্যবস্থাকে ঘায়েল করে দিতে পারে এই প্রথম এ গবেষণার মাধ্যমে সে বিষয়ে আলোকপাত করা হয়েছে। এতে দেখা গেছে, ডিটারজেন্ট, সাবান বা প্লাস্টিকে পাওয়া যায় এমন তিনটি অভিন্ন রাসায়নিক উপাদান শুক্রাণুর ওপর প্রভাব বিস্তার করতে পারে। এ পরীক্ষায় দেখা গেছে, এসব রাসায়নিক যতোটা ক্ষতিকর বলে আগে মনে করা হতো, প্রকৃতপক্ষে ক্ষতির মাত্রা তার চেয়ে অনেক বেশি।

কিন্তু গবেষকরা বিশ্বাস করেন এই পরিস্থিতির উন্নতি ঘটানো সম্ভব। আর তাই পণ্যের গুণগত মান যাচাই করে পণ্য ব্যবহার করতে হবে।