English Version
আপডেট : ২৮ জুন, ২০১৬ ২১:৪৮

রাজশাহীতে ভুয়া ডাক্তারকে অর্থদণ্ড

অনলাইন ডেস্ক
রাজশাহীতে ভুয়া ডাক্তারকে অর্থদণ্ড

রাজশাহীতে রোগীদের সাথে প্রতারণার অভিযোগে ডা. কামরুল হুদা ও মেডিসন ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে ২০ হাজার টাকা করে মোট ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।

সোমবার (২৭ জুন) বিকেলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রুমন দে এর ভ্রাম্যমাণ আদালত জরিমানা করেন।

রাজশাহী মহানগর পুলিশের মুখপাত্র ও রাজপাড়া থানার সহকারী পুলিশ কমিশনার  ইফতেখায়ের আলম জানান, নগরীর লক্ষীপুর মোড়ে অবস্থিত মেডিসন ডায়াগনস্টিক সেন্টারে প্রতারণামূলক রোগীদের চিকিৎসা করা হয় এমন তথ্যের ভিত্তিতে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও আরএমপি পুলিশের সহযোগীতায় সেখানে অভিযান চালানো হয়।

পরে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে মেডিকেল ও ডেন্টাল কাউন্সিল আইন-২০১০ এর ধারা-২৯ অনুযায়ী ক্লিনিককে ২০ হাজার টাকা এবং মেডিকেল প্রাকটিস এন্ড প্রাইভেট ক্লিনিক রেজি: ১৯৮২ এর ৭ ধারা অনুযায়ী ডাক্তারকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

সেই সাথে তার ভিজিটিং কার্ড ব্যানার ও ফেস্টুন জব্দ করে জনসম্মুখে পুড়িয়ে ফেলা হয়। তাকে সবকিছু নিয়মের মধ্যে নিয়ে আসতে ৭ দিনের আল্টিমেটাম দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে ঠিক না হলে ডাক্তারের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা ও ক্লিনিকটি সিলগালা করে দেওয়া হবে।

এদিকে, গত কয়েকদিন আগে ভোলাহাট থানার মুসরিভুজা গ্রামের মিলির কণ্যা জেসমিনকে তার মা চোখের চিকিৎসা করাতে রামেক হাসপাতালের বহির্বিভাগে নিয়ে আসেন। এরপর মেডিসন ডায়াগনস্টিক সেন্টারের দালাল তাকে ডা. কামরুল হুদার কাছে নিয়ে আসেন।

কামরুল হুদা চোখের চিকিৎসক না হয়েও চোখ দেখে ৫০০ টাকা ভিজিট ও পরীক্ষার জন্য আরো ৩ হাজার টাকা নিয়ে নেন। এরপর জেসমিনের চোখ ভাল না হয়ে আরো খারাপ হয়ে যায়।

শুধু জেসমিন নয় জেসমিনের মত অনেক রোগীর সাথেই প্রতারণা করে থাকে মেডিসন ডায়াগনস্টিক সেন্টারের দালাল ও চিকিৎসক কামরুল হুদা।

ভ্রাম্যমাণ আদালতে উপস্থিত ছিলেন নগর পুলিশের মুখপাত্র ও রাজপাড়া থানার সহকারী পুলিশ কমিশনার ইফতেখায়ের আলম ও আরএমপি পুলিশের একটি টিম।