English Version
আপডেট : ২০ মে, ২০১৬ ১২:৫৮

মেদ কমান সহজেই

অনলাইন ডেস্ক
মেদ কমান সহজেই

মেদ আমাদের মাথাব্যথার একটি কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। পেটের মেদ জমলে মানুষের সৌন্দর্যের হানি ঘটে। শুধু তাই নয় সঙ্গে বিব্রতকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। শারীরিক পরিশ্রম না করা এবং অনিয়মিত খাদ্যাভ্যাসের কারণেই চর্বির স্তর ধীরে ধীরে জমা হয়। তাই নিয়মিত ঘণ্টা ধরে ব্যায়াম করার সময় না পেলেও দৈনন্দিন জীবনযাপনে ছোটখাটো কিছু পরিবর্তনই মেদ কমাতে সাহায্য করবে।

নিয়মিত খাবার অল্প অল্প করে খেতে হবে। অর্থাৎ একবারে বেশি খাবার খাওয়া যাবে না। প্রতিদিনের খাবারের তালিকা ভাগ করে নিতে হবে পাঁচ বা ছয় ভাগে।

খাওয়ার আগে পান করতে হবে দুই গ্লাস পানি। খাবার খাওয়ার সময় পানি খাওয়া একেবারেই ঠিক নয়। পানি যদি খেতেই হয় তবে তা খাওয়ার আধঘণ্টা পরে খাওয়াই ভালো৷

এসব মেনে চলার পাশাপাশি নিয়মিত হাঁটাও পেটের মধ্যে মেদ জমতে বাধা দেয়। সে জন্য সময় করে যে হাঁটতেই হবে, তা নয়। অফিস থেকে ফেরার পথে ২০ মিনিটের মতো পথ জোরে জোরে হাঁটুন। সিঁড়ির ব্যবহারও পেটের মেদ কমাতে সাহায্য করে। প্রতিদিন একবার পাঁচ বা ছয়তলা সিঁড়ি হেঁটেই উঠুন।

পেটে মেদ জমতে দিতে না চাইলে রাতের খাবার ঘুমানোর দুই ঘণ্টা আগে খেতে হবে। এছাড়াও যেদিন বেশি ক্যালরি বা চর্বিজাতীয় খাবার খাওয়া হবে, সেদিন এক কাপ হালকা গরম পানিতে লেবুপানি মিশিয়ে পান করে নিন৷

ভিটামিন সি সম্পর্কে আমরা কমবেশি সবাই জানি। টক জাতীয় ফলমূলে প্রচুর ভিটামিন সি আছে। এই উপাদানটি আমাদের শরীরে সেই হরমোনটির ব্যালেন্স ঠিক রাখে যেটি শরীরে মেদ নিয়ন্ত্রণ করে। ভিটামিন সি কারনিটিন নামক প্রয়োজনীয় একটি উপাদান তৈরি করে, যা শরীরে চর্বি পোড়াতে সহায়তা করে।

বাসাতে থাকলে মেঝেতে শুয়ে হালকা কিছু ব্যায়ামও করতে পারেন৷ যেমন: মেঝেতে সোজা হয়ে শুয়ে পড়ুন। দুই পায়ের মধ্যে একটু ফাঁকা রেখে হাঁটু পর্যন্ত ভেঙে নিন। হাত দুটো কানের পেছনে থাকবে। এবার নিশ্বাস ছাড়তে ছাড়তে মাথাটা ওপরে ওঠান। ঘাড় সোজা থাকবে এবং চোখ দুটো থাকবে ওপরের দিকে।

খেয়াল রাখবেন, ঘাড়ে যেন চাপ না পড়ে। এভাবে শ্বাস নিতে নিতে মাথাটা নামিয়ে ফেলুন। নামানোর সময় মাথা মেঝে থেকে ওপরে থাকবে। একইভাবে এক থেকে ১২ পর্যন্ত গুনতে গুনতে মাথা ওঠা-নামা করুন। এভাবে প্রথম পর্যায়ে ১২ বার করলেই চলবে৷ আস্তে আস্তে অভ্যাস হয়ে গেলে বাড়িয়ে নিন এই ব্যায়ামের সময়। দেখবেন, ১৫ দিনেই কতটা ফিট হয়েছেন আপনি।

পানি শরীরের ভেতরটা সতেজ করে। তাই প্রচুর পানি পান করুন। জুস, কোল্ড ড্রিংকস, আঙুরের রস খেলে হবে না। বিশুদ্ধ পানি খেতে হবে। পানি শরীরের টক্সিন বা বিষকে বের করে দিয়ে মাংসপেশি গঠনেও সাহায্য করে।