অতিরিক্ত গরমে কদর বেড়েছে “ডাবের”

জ্যৈষ্ঠের প্রচন্ড তাপদাহে বিভিন্ন শরবত ও কোমল পানীয়র পাশাপাশি চাহিদা বেড়েছে ডাবের। অন্যান পানীয়র তুলনায় ডাবের পানি শতভাগ নিরাপদ। তবে দাম অনেক বেশী হওয়ায় নিম্ন বিত্তের তৃষ্ণার্ত মানুষ ডাবের পানির পরিবর্তে হাট বাজারে বিক্রি হওয়া বেলের শরবত, আখের গুড়ের শরবতসহ বিভিন্ন কোমল পানীয় পান করছেন।
জানা যায়, প্রচন্ড গরমে সহজলভ্য এ সব পানীয় কিনে পান করছেন। নিম্ন বিত্ত শ্রমজীবী মানুষ। বিভিন্ন পেশার অনেক পথচারী তৃষ্ণা নিবারনে পথের ধারে দাড়িয়ে এসব পানীয় পান করছেন। চিকিৎসকের মতে,কিছু সময়ের জন্য তৃষ্ণা দূর হলেও এসব পানীয় থেকে পানি বাহিত রোগ টাইফয়েড, কলেরা, আমাশয় ও জন্ডিসসহ বিভিন্ন রোগের কারণ হতে পারে।
এছাড়াও সংগৃহিত ময়লা পানি থেকে বানানো যেসব বরফ ব্যবহার করা হয়, তা স্বাস্থ্য সন্মত নয়। নড়াইলের উপজেলার বিভিন্ন হাটবাজার ঘুরে দেখা যায়, জনবহুল স্থানে ডাব এবং শরবত ও কমল পানীয়র পসরা সাজিয়ে বসে আছেন বিক্রেতারা। উন্মুক্ত বিক্রি হওয়া এসব শরবতে ধুলা বালি যেমন পড়ছে, তেমনি মাছিও ঘুর ঘুর করছে। দামে সহজ লব্ব হওয়ায় ডাবের তুলনায় শরবত বিক্রি হচ্ছে বেশী।
ডাব বিক্রতা মিনহাজ জানান, গরমে ডাবের চাহিদা বেড়েছে তবে এবারে ডাবের উৎপাদন কম হওয়ায় গত বছরের তুলনায় এবারে ডাবের দাম অনেক বেশী। বড় ও মাঝারি আকারের একটি ডাব বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ৪০ টাকা। তবে নিম্ন মধ্য বৃত্তের চাইতে বৃত্তবান ক্রেতারাদের সংখ্যাই বেশী। ডাব ক্রেতা সাজেদুল জানান, দাম বেশী হলেও অনেকটা নিরাপদ জেনে ডাব কিনছেন। ডাব ব্যবসায়ীরা জানান,বিভিন্ন অসুখে ডাবের চাহিদা থাকলেও ক্রেতাদের ডাব সরবরাহ করতে পারছেন না।
শরবত বিক্রেতা আনাম জানান, বেল ও আখের গুড়ের এক গ্লাস শরবত বিক্রি হচ্ছে ৫ টাকা। বেল, গুড়, পেপে ও জুস মিশ্রিত এক গ্লাস শরবত বিক্রি হয় ১০ টাকা। ৫ টাকার নিচে কোন শরবত বিক্রি হয় না। অভিযোগ রয়েছে এসব শরবতে যে বরফ ব্যবহার করা হয় তা মান সম্মত নয়।
শরবতে মান সম্মত বরফ ব্যবহার করা হয় কি-না জানতে চাইলে বিক্রেতারা জানান, বরফ কল থেকে বরফ কিনে নিয়ে আসেন। ভালো পানি থেকে তৈরী হয় কি-না তা তারা জানেন না। পানীয়- শরবত যেটাই হোক না কেন, তা পান করার আগে তার মান সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া প্রয়োজন। পাণ করা পানীয় অবশ্যই বিশুদ্ধ হতে হবে। তা না হলে ইকোলাই ব্যকটেরিয়া সহ বিভিন্ন প্রকার জীবানু দ্বারা আমাশয়, কলেরা, টাইফয়েড, জন্ডিস সহ বিভিন্ন পানি বাহিত রোগে আক্রান্ত হতে পারে। এতে করে পরবর্তী সময়ে লিভার মারাত্মক ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হতে পারে। এর পরেও কেউ জেনে আবার কেউ না জেনে পান করছেন খোলা বাজারে বিক্রি হওয়া এসব শরবত ও পানীয়।
এ বিষয়ে জন সচেতনতা সহ মনিটরিং জোরদারে প্রয়োজন আছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, জন স্বার্থে এর যথেষ্ট প্রয়োজন রয়েছে।