English Version
আপডেট : ৭ এপ্রিল, ২০১৬ ২০:২৪

এই গরমে কাঁচা আম খান, সুস্থ থাকুন

অনলাইন ডেস্ক
এই গরমে কাঁচা আম খান, সুস্থ থাকুন
কাঁচা আম

আম ফলের রাজা। আমের আছে ১০০০টি রকমের প্রজাতি। কাঁচা আম প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট, ভিটামিন, মিনারেল ও পানিতে ভরপুর। কাঁচা আমের স্বাস্থ্য উপকারিতার কথা জানলে কাঁচা আম খাওয়ার প্রয়োজনীয়তা বুঝতে পারবেন। আসুন জেনে নিন-

কাঁচা আম খেলে এসিডিটির সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। পাশাপাশি ডায়রিয়া, আমাশয় ও বদহজমের সমস্যাগুলোর বিরুদ্ধে কাজ করে কাঁচা আম। অন্ত্রকে পরিষ্কার করে ও কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তি দেয় কাঁচা আম। লিভারের রোগ নিরাময়ের প্রাকৃতিক উপায় হচ্ছে কাঁচা আম। কাঁচা আম চিবানোর সময় পিত্ত থলির এসিড ও পিত্তরস বৃদ্ধি পায় ফলে যকৃতের স্বাস্থ্য ভালো হয় এবং অন্ত্রের ব্যাকটেরিয়ার ইনফেকশন পরিষ্কার করে।

গরমে প্রচুর ঘাম হয়। ফলে শরীরে সোডিয়াম ক্লোরাইড এবং আয়রন কমতে শুরু করে। কাঁচাআমের জুস খেলে এই সমস্যা কমবে। শরীরের তৃষ্ণা মেটানোর জন্য এবং পানির ঘাটতি পূরণের জন্য সামান্য লবণ দিয়ে কাঁচা আম খান।

কাঁচা আম শরীরের প্রয়োজনীয় ভিটামিন সি সরবরাহ করে। স্কার্ভি, অ্যানেমিয়া ও মাড়ির রক্ত পড়া কমায় কাঁচা আম। শুধু মাড়ির রক্ত পড়াই নয়, কাঁচা আম নিঃশ্বাসের দুর্গন্ধ ও দাঁতের ক্ষয় রোধ করে। কাঁচা আম ভিটামিন এ তে ভরপুর এবং আলফা ক্যারোটিন ও বিটা ক্যারোটিন এর মতো ফ্লাভনয়েড সমৃদ্ধ। এইসব উপাদান দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখে ও দৃষ্টিশক্তির উন্নতি ঘটায়।

কাঁচা আম প্রচুর এনার্জি দিতে পারে। দুপুরের খাওয়ার পরে কাঁচা আম খেলে তন্দ্রা কেটে যায়। বিশেষ করে গর্ভবতী মহিলাদের মর্নিং সিকনেস দূর করতে চমৎকারভাবে কাজ করে কাঁচাআম। ডায়াবেটিসের জন্যও কাঁচা আম স্বাস্থ্যকর, যা খেলে শরীরের সুগার লেভেল কমে যায়।

বিভিন্ন রকমের রক্তের সমস্যা যেমন- রক্তশূন্যতা, ব্লাড ক্যান্সার, রক্তক্ষরণের সমস্যা ও টিউবারকোলোসিস এর সংক্রমণ প্রতিরোধে সাহায্য করে কাঁচা আম। এছাড়াও এটি শরীরের কোষকে উজ্জীবিত করে এবং রক্তনালীর স্থিতিস্থাপকতা বৃদ্ধি করে ও নতুন রক্তকোষ গঠনে সহায়তা করে। সুতরাং সিজনাল এই ফল উপভোগ করুন, সুস্থ্ থাকুন। সংগৃহিত অনলাইন।